নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের মামলার (Shraddha Walker murder case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে (Aftab Amin Poonawalla) জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তবে আফতাবের বয়ানে এখনও অনেক অসঙ্গতি থাকায় নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট (Narco Analysis Test) করানোর সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধাকে খুনের আগে ২০১০ সালের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত আফতাব।
২০১০ সালে কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল?
২০১০ সালে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে খুন হন অনুপমা গুলাটি। তাঁকে খুন করেছিলেন তাঁরই স্বামী রাজেশ গুলাটি। রাজেশ তাঁর স্ত্রী অনুপমার দেহ ৭০ টুকরো করেছিল। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ছাড়তে যাওয়ার সময় দফায় দফায় মুসৌরির বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রীর দেহের টুকরোগুলি ফেলে আসত।
তাহলে এই ঘটনার সঙ্গে শ্রদ্ধা কাণ্ডের কী মিল?
এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, আফতাবও শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিল। আফতাব ও রাজেশ, দুইজনই মৃতদেহ সংগ্রহ করে রেখেছিল ফ্রিজের ভিতরে। দেহরাদুনের ঘটনায় রাজেশ দুই মাসের জন্য স্ত্রীকে খুনের কথা লুকিয়ে রাখতে পেরেছিল। সেখানেই আফতাব প্রায় ছয় মাস শ্রদ্ধার দেহ লুকিয়ে রেখেছিল।
এই কাহিনি পড়েই কি শ্রদ্ধাকে খুন করার পরও তাঁকে জীবিত রাখার পরিকল্পনা আফতাবের মাথায় এসেছিল? সে প্রশ্নও এখন উঠতে শুরু করেছে। তবে আফতাবের দাবি ছিল, ‘ডেক্সটার’ নামক একটি সিরিজ দেখেই শ্রদ্ধাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে।