নয়াদিল্লি: জল খরচের বিলই কি সাইকো-কিলার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Amin Poonawala) বিরুদ্ধে পুলিশের তথ্য হতে চলেছে? সঙ্গিনী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walker) খুনের পর রক্তসহ সবরকম প্রমাণ লোপাট করতেই কি ট্যাঙ্কের জল খালি করে দিত আফতাব! আর সেই কারণেই কি অবিশ্বাস্যরকম জল খরচের বকেয়া বিল হাতে পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। মৃতার বাবা বিকাশ ওয়াকারও বলেছেন, আফতাব অত্যন্ত চতুর ছেলে। ৫-৬ মাস ধরে সে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। তাই সত্য উদ্ধারে পুলিশকে বেগ পেতে হবে। তবে মেয়ের খুনির ফাঁসি না দেখা পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি পুরসভা শহরের বাসিন্দাদের জন্য ২০ হাজার লিটার জল বিনামূল্যে সরবরাহ করে। কিন্তু, পুলিশ তদন্তে নেমে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ৩০০ টাকার একটি বকেয়া বিল পেয়েছে। যেখানে আবাসনের অন্য বাসিন্দারা বলেছেন, জলের জন্য তাঁদের কাউকে অতিরিক্ত বিল মেটাতে হয় না। সরকারের বরাদ্দ জলেই তাঁদের কাজ মিটে যায়।
আরও পড়ুন: Shraddha-Aftab Case: শ্রদ্ধাকে কেন খুন করে আফতাব, মনোবিদদের গবেষণা কী বলছে?
হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ফের আফতাবকে আদালতে তুলে আরও কয়েকদিন হেফাজতে চাইবে পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, খুনের পর আফতাব প্রচুর জল খরচ করেছিল। ওর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আফতাব প্রায়ই গিয়ে জলের ট্যাঙ্ক দেখে আসত। পুলিশ আরও জেনেছে, ফ্ল্যাট ভাড়ায় নেওয়ার চুক্তিতে সে শ্রদ্ধার নাম প্রথমে, তার নাম পরে দিয়েছিল।
অন্যদিকে, মুম্বইয়ের (Mumbai) যে বাড়িতে আফতাবের পরিবার থাকত, সেই বাড়িতে এখন তালা মারা। শ্রদ্ধার বাবা প্রথমে মেয়ে নিখোঁজ বলে মানিকপুর থানায় একটি ডায়েরি করেন। তখন দুবার পুলিশ আফতাবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু, তারপর থেকেই ওই বাড়ি থেকে উধাও তার পরিবার। পুলিশের সন্দেহ, তাহলে কি বাড়ির লোকও গুণধর ছেলের কীর্তির কথা জানত!
এও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর আফতাব তার ফোন ওএলএক্সে বেচে দিয়েছে। এছাড়াও সে যেহেতু শ্রদ্ধার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মোবাইল অ্যাপের পিন জানত, তাই সেখান থেকে ২৬ মে ৫৪ হাজার টাকা সরিয়ে তার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল।