নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar) খুনের তদন্তে পুলিশ (Delhi Police) যখন এখনও ধোঁয়াশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তখন এই রোমহর্ষক খুন মনোবিদদেরও গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কয়েকটি হাড়ের টুকরো উদ্ধার করলেও শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড ও দেহ টুকরো করার চপারটি উদ্ধার করতে পারেনি। শ্রদ্ধা ও আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aaftab Amin Poonawala) যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেই এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, নিয়মমতো ১৫ দিনের ফুটেজ রাখা হয়। কিন্তু পুলিশের দরকার গত ৬ মাসের ফুটেজ। ১৮ মে ব্যবহৃত ২ জনের জামাকাপড়ই আফতাব চলন্ত ময়লার গাড়িতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ঠান্ডা মাথায় আফতাব যে সমস্ত কাজ করে গিয়েছে তা গবেষণার আতসকাচের তলায় এসেছে মনোবিদদেরও। কী বলছেন তাঁরা?
ফরেনসিক মনোবিদ দীপ্তি পুরানিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, এই ধরনের আচরণের জন্য কোনও একটি কারণ থাকতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকম নৃশংস খুনের পিছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে।
১। ভুল বোঝাবুঝি ও সম্পর্কের গাঢ়ত্বের অভাব।
২। ছোটখাট রাগ বা ক্রোধ থেকে জন্ম নেওয়া হিংসাত্মক আচরণ (low anger threshold)।
৩। টেলিভিশন এবং সিনেমায় দেখা হিংসার দৃশ্যের বাস্তব প্রয়োগ করা।
পুরানিক আরও বলেছেন, এখনকার দিনে আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ খুব অল্পতেই চাপমুক্ত হতে চাইছে বা বলা ভালো সামান্য চাপও সহ্য করতে পারছেন। সামান্য ঘটনাতেই উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। হতাশা মেনে নিতে পারছে না। ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা না করেই তারা বিবাদের পথে চলে যাচ্ছে। সহজেই যেটা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যায়, সেটাকেই তিক্ততার দিকে নিয়ে যাচ্ছে এযুগের প্রজন্ম, বলেন তিনি।
আফতাবের মনের কোণে যাই লুকিয়ে থাকুক না কেন, অধিকাংশ মনোবিদেরই এক কথা, চলতি সিনেমা, টিভি শো, সিরিজে এত হিংসা, রক্তপাত, বীভৎস দৃশ্য থাকছে, যাতে তরুণ মনে অবিকল সেরকম কিছু করার প্রবণতা গড়ে উঠছে। আমিও পারি গোছের মানসিকতা থেকেই এ ধরনের অপরাধ জন্ম নিচ্ছে বলে তাঁদের মত।