নয়াদিল্লি: আজ দিল্লির পুরভোটের গণনা, সেই সঙ্গে একই দিনে শুরু হচ্ছে পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশন। তবে এই অধিবেশনের সময় নিয়ে বিরোধীদের প্রবল অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, গুজরাতের ভোটের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ মোদি-শাহ-সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা গুজরাতের প্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন। শুধু পিছিয়ে দেওয়াই নয়, মোদি-শাহের রাজ্যে ভোটের কারণেই এ বার অধিবেশনের সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হল বলে অভিযোগ। বলাবাহুল্য করোনার কারণে গত বছরও শীতকালীন অধিবেশনে বেশ কিছু নিয়মকানুনের কড়াকড়ি ছিল। তবে এবার সেসব নেই। পূর্ণসংখ্যক সদস্যদের নিয়েই সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন হবে।
তবে কী কী বিল পাশের সম্ভাবনা এই শীতকালীন অধিবেশনে?
সূত্রের খবর, এ বারের মোট ১৬টি বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবে মোদি সরকার। যার মধ্যে অন্যতম, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, একাধিক রাজ্যে সক্রিয় সমবায় সমিতিগুলির নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত বিল এবং জাতীয় ডেন্টাল কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিল।
আরও পড়ুন Mathura Hanuman Chalisa: মথুরার মসজিদে হনুমান চালিশা পড়ার ডাক ভেস্তে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
উল্লেখ্য, অধিবেশন শুরুর আগে প্রথা মেনে মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিভিন্ন দলের সাংসদদের নিয়ে বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক করেন। পাশাপাশি, আজ ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অন্যদিকে, এক্সিট পোলের পূর্বাভাস দুটি রাজ্যেই কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। গুজরাটে বিজেপি বড় জয় পাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস বিজেপিকে জোর টক্কর দিলেও শেষরক্ষা হবে না। ভোটের ফলাফল শীতকালীন অধিবেশনে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান সংসদ ভবনে শীতকালীন অধিবেশনই শেষ অধিবেশন হতে পারে। কারণ পরের অধিবেশন হবে নতুন সংসদ ভবনে।