নয়াদিল্লি: পিএম কিষাণ প্রকল্পে (PM kisan scheme) উপভোক্তার সংখ্যা হু-হু করে কমছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক স্বার্থবিরোধী নীতির ফলেই পিএম কিষাণ প্রকল্পের এই করুণদশা বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
গোটা দেশজুড়ে (India) পিএম কিষাণ প্রকল্পে উপভোক্তার (beneficiaries) সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমছে। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি এই প্রকল্পে (scheme) উপভোক্তার সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে, কৃষিকাজের জন্য যে পাম্পগুলি ব্যবহার করা হয় তাতে বিদ্যুতের মিটার বসিয়ে দিচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: Peru: নির্বাচন দু’বছর এগিয়ে আনার প্রস্তাব দিলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তে
দেশের কৃষক সম্প্রদায়ের (farmers) প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ এই নতুন নয়। তিন কৃষি আইন (three farm law) বাতিলের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে টানা দুবছর পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা তীব্র আন্দোলনে শামিল হন। সেইসময়েও কেন্দ্রীয় সরকার মাসের পর মাস ধরে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়নি।
এরপর পিএম কিষাণ প্রকল্প নিয়ে মুখ খুলেছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। টিআরএস (TRS) দুষেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে চালু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প, সংক্ষেপে যা পিএম কিষাণ প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।
তথ্যর অধিকার আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় জানা গিয়েছে, পিএম কিষাণ প্রকল্পের ১১তম কিস্তি থেকে বঞ্চিত ৬৭ শতাংশ উপভোক্তাই। পিএম কিষাণ প্রকল্পে বছরে উপভোক্তাদের মোট ৬ হাজার টাকা তিন কিস্তিতে দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের (central government)।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের অগাস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হরিয়ানায় পিএম কিষাণ প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫১জন। এই সংখ্যাটা ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে নভেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬২০জন।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশে (UP) ২০২০ সালের অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পিএম কিষাণ প্রকল্পে উপভোক্তার কৃষকের (farmers) সংখ্যা ছিল ২ কোটি ১৯ লক্ষ ৪ হাজার ৮১৮জন। ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে নভেম্বরে উপভোক্তার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩০৩জনে।
 উপভোক্তার সংখ্যা হু-হু করে কমছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক স্বার্থবিরোধী নীতির ফলেই পিএম কিষাণ প্রকল্পের এই করুণদশা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ){kind=link}