রানাঘাট: নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা নির্দোষ। এমনটাই দাবি ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার রানাঘাট (Ranaghat) আদালতে পেশ করার সময় সমরেন্দ্র বলেন, তদন্তের নামে সিবিআই (CBI) বিজেপির (BJP) দালালি করছে। সিবিআই যাদের গ্রেফতার করেছে, তাঁরা সকলেই নির্দোষ। সমরেন্দ্র বলেন, আমি চাই, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বা অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতর নজরদারিতে নিরপেক্ষ তদন্ত করানো হোক।
হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকা গনধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃতদের এদিন রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। আজ এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মৃত নাবালিকার মা।
আরও পড়ুন: Give patta: ফের গ্রামের পথে অভিষেক, সেচমন্ত্রীকে ফোন করে দ্রুত পাট্টা দেওয়ার অনুরোধ
রানাঘাট মহকুমা আদালতে সিবিআই ও বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তোলেন এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দু গয়ালি। এই মামলায় সমরেন্দু গয়ালিকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ব্রজর জন্মদিনে ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে আনা হয়েছিল। সেখানে ব্রজ এবং তাঁর আরও কয়েকজন বন্ধু মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষ্ণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে এসে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে চুপিসারে গয়ালি পরিবার ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকার দেহ সৎকার করে ফেলে। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।
গত বছরের ৪ এপ্রিল ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় চলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, দেখতে হবে। মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল কি না, তাও দেখা উচিত। সে সব না দেখেই মিডিয়া হইচই জুড়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালিতে (Hanskhali) এক নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। ৯ এপ্রিল মৃতার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত ব্রজ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই (CBI)। ঘটনার ৮৫ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।