জলপাইগুড়ি: সারদা (Saradha Scam) কর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) জলপাইগুড়ি জেলার চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে বৃহস্পতিবার জামিন (Bail) পেলেন। একটি মামলা আলিপুর সিবিআই কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে এই মামলাগুলি হয় জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) । এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভক্তিনগর থানায় তিনটি এবং কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা ছিল। ভক্তিনগর থানার তিনটির মধ্যে একটি মামলায় সিবিআই চার্জশিট দেওয়ায় সেটি বিচারক আলিপুর সিবিআই আদালতে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন। বাকি তিন মামলায় জামিণ হল সারদা কর্তার। তবে তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ, বিভিন্ন আদালতে এখনও তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলিতে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে অভিযুক্ত ছিলেন সারদা গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তৃ দেবযানী মুখোপাধ্যায়, অধুনা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সহ আরও অনেকে। তাঁদের জামিন আগেই হয়ে গিয়েছিল বলে সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী শাক্যদীপ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন।
২০১৩ সালে অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সেইসময় সারদা গোষ্ঠী একাধিক সংবাদ মাধ্যমের মালিক ছিল। চ্যানেল এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে অনেক তৃণমূল নেতার চাকরিও হয়। কুণাল ঘোষ সারদা গোষ্ঠীরই সংবাদ মাধ্যমে খুব উচ্চ বেতনে চাকরি করতেন। ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। ওইসময় শাসকদলের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেনের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীকালে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় সুদীপ্ত সেন দেবযানীকে নিয়ে পালিয়ে যান। রাজ্য পুলিশ কাশ্মীর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। অভিযোগ ওঠে, সারদার অর্থ লগ্নি সংস্থায় বহু টাকা বিনিয়োগ করে প্রচুর লোক একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বলা হয়, এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সিবিআইকে সেই ষড়যন্ত্রই ফাঁস করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তে নেমে সিবিআই অনেককেই গ্রেফতার করে। রাজ্য পুলিশও গ্রেফতার করে বেশ কয়েকজনকে। আদালতের নির্দেশে অনেকে জামিনেও ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। তবে সুদীপ্ত এবং দেবযানী এখনও জেলেই রয়ে গিয়েছেন।