মুর্শিদাবাদ: তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের (Conflict) ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডোমকল। সোমবার সন্ধ্যায় ডোমকলের কুঠি মোড়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে ৫ কংগ্রেস কর্মী গুরুতর জখম হন বলে স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি। তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কংগ্রেসের মারে জখম হয়েছেন কালীনগর ২-এর পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayat Pradhan) মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালেও এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় ডোমকলের কুঠি মোড়ে কংগ্রেসের এক সভা ছিল। সেই সভায় রানীনগর থেকে প্রচুর কংগ্রেস কর্মী সমর্থক এসেছিলেন। অভিযোগ, সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই কংগ্রেস কর্মীদের উপর লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, যেসব টোটোয় চেপে কংগ্রেস কর্মীরা ফিরছিলেন সেগুলিতে ভাংচুরও চালানো হয়। কংগ্রেস কর্মীদের বেশ কয়েকটি মোটর বাইকও ভেঙে দেওয়া হয়। তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীরা এক কংগ্রেস কর্মীকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:Arjun Singh | অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আর অহংকারই সাগরদিঘিতে হারের কারণ, বিস্ফোরক অর্জুন সিং
কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় মোট পাঁচ জনের নামে রানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। যদিও রানীনগর-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শাহ আলম কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, কালীনগর-২ পঞ্চায়েতের প্রধান মনিরুল ইসলাম গোধনপাড়া এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের কর্মীরা ঝান্ডা হাতে নিয়ে প্রধানকে মারধর করায় সাধারণ মানুষ কংগ্রেস কর্মীদের আটকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাণীনগর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সোমবারই সন্ধ্যায় সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূল সমর্থকরা সামশেরগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভ চলে অনেক রাত পর্যন্ত। কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনকে খুনের হুমকি দিয়েছেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করেছেন। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন। কয়েকশো তৃণমূল সমর্থকদের থানা ঘেরাও ঘিরে উত্তেজনাও ছড়ায়। পরে পুলিশের আশ্বাসে ঘেরাও উঠ যায়। কংগ্রেস বিধায়ক অবশ্য দাবি করেন, খুনের হুমকি বা গালিগালাজের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।