উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগটাই যেন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ পনেরো বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আরও এক পা এগিয়ে গেল সেমিফাইনালে উঠে। মঙ্গলবার তারা কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে চেলসির মাঠে গিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়ে এল ২-০ গোলে। প্রথম পর্বে রিয়াল জিতেছিল ২-০ গোলে। দু্ই পর্ব মিলিয়ে তারা তাই ৪-০ গোলে ম্যচ জিতল। ম্যাচের দুটি গোলই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রডরিগোর। মঙ্গলরাতের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে জিততে পারল না নাপোলি। সাত বারের চ্যাম্পিয়ন এ সি মিলানের সঙ্গে তাদের ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। প্রথম পর্বে এ সি মিলান জিতেছিল ১-০ গোলে। তাই সব মিলিয়ে এ সি মিলান ২-১ গোলে জিতে সেমিফাইনালে গেল। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে মিলানের অলিভার জিরু এগিয়ে দেন তাঁর দলকে। আর ৯৩ মিনিটে ওসিমেন গোলটা শোধ করলেও তা গুরুত্বহীন হয়ে যায়।
চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ মঙ্গলবার কাণায় কাণায় পূর্ণ ছিল। তাদের নতুন ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের জন্য তারা হাশায় বুক বেঁধেছিল। যদি অঘটন কিছু ঘটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে প্রথম ৪৫ মিনিট দাপট ছিল চেলসিরই। এই সময় গোল করার সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু রিয়ালের গোলকিপার থিওবা কুর্তোয়া সেটা হতে দেননি। বিরতির পর অবশ্য অন্য মুর্তি ধরে রিয়াল। ৫৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে দুরন্ত শটে গোল করেন রডরিগো। ৮০ মিনিটে রডরিগোর দ্বিতীয় গোলটার অবশ্য বেশি কৃতিত্ব উরুগুয়েন মিডফিল্ডার ভালভার্দের। তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি ফাঁকায় থাকা রডরিগোকে পাশ করেন। গোল করতে ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান। সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে পড়ার কথা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। প্রথম লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান সিটি ৩-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে। বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফার সেমিফাইনাল। আর এসি মিলান সেমিফাইনালে খেলবে সম্ভবত ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে। প্রথম লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্টার ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বেনফিকাকে। বুধবার নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। এতে ইন্টারের জেতার সম্ভাবনা বেশি। এ সি মিলান-ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল হলে বহুদিন পর একটা ইতালির টিম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলবে।