কলকাতা: খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফয়জল আহমেদের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট প্রবীণ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় কুমার গুপ্তকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। ওই চিকিৎসক তাঁর রিপোর্টে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশ মতোই মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ফয়জলের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুন।
ডাঃ গুপ্তের রিপোর্টে পর্যবেক্ষণ হল, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। হাত কেটে দিয়ে আত্মহত্যার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। মঙ্গলবারই অজয়ের রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, শেষ পর্যন্ত অডিন্যান্সই আনছে রাজ্য সরকার
আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ নভেম্বর তদন্তকারী অফিসার ছাত্রের ঘর থেকে বেশ কিছু ওষুধ উদ্ধার করেন।বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি নীল বাকেট। তার মধ্যে ছিল হলুদ রঙের কোনও তরল পদার্থ। কিভাবে মৃত্যু হয়ে থাকতে পা্রে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখ নেই। খালি চোখেই হেমাটোমা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা নিয়ে কিছুই বলা নেই।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, ত্রুটিপূর্ণ ময়না তদন্ত হয়েছে। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কথা ভাবতে হচ্ছে। ফয়জলের দেহ আবার কবর থেকে তুলতে হবে। সেই দেহ কলকাতায় আনা হবে। ফরেন্সিক বিষেষজ্ঞ ডাঃ গুপ্ত এবং আগেরবার যিনি ময়নাতদন্ত করেছেন সেই চিকিৎসককে উপস্থিত থাকতে হবে ময়নাতদন্তের সময়। ময়নাতস্নত হবে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এক মাসের মধ্যেই ময়নাতদন্ত করে ফেলতে হবে।