কলকাতা: ফের ওড়িশায় (Odisha) দুর্ঘটনার কবলে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের গাড়ি। মৃত্য শ্রমিকের (Labour)। জাতীয় সড়কে (National High Way) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শ্রমিকদের গাড়ি। দুই পোল্ট্রি (Poultry) শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় তাঁদের বাড়ির এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই নিয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় দুমাসের মধ্যে নয়জনের মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, বসিরহাট ও বাদুড়িয়া থানা এলাকার শ্রমিক তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার (Basirhat PS) সংগ্রামপুরি শিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবাটি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪০-এর সাইফুল গাজী, বাদুড়িয়া থানার (Baduria PS) পুরো গ্রামের বছর ২৫-এর আশারফ সর্দার সহ বসিরহাট ও বাদুড়িয়া থেকে মোট ছয় জন শ্রমিক রওনা দেয়। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ কোম্পানির চার চাকার গাড়ি নিয়ে রওনা দেয় তাঁরা। শুক্রবার ভোরে বাংলা ও ওড়িশার জাতীয় সড়কে বালেশ্বর জেলার (Baleshwar) সড় থানায এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শ্রমিক বোঝাই ওই গাড়িটি সজোরে একটি ডাম্পারের পিছনে ধাক্কা মারে। তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চার চাকার গাড়িটি। দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। বাকি চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বসিরহাটের মাটিয়া এলাকা থেকে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা আনতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের। আবার দুমাসের মাথায় ফের পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা আনতে গিয়ে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। বারবার ওড়িশার জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো বেশি করে মুনাফা অর্জন করতে গিয়ে তাঁদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শ্রমিকরা কেন তাঁদের পরিবহণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারছে না। একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতের পরিবারের লোকেরা আর্জি জানাচ্ছেন। মৃতদেহ আনতে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছেন মৃত পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: Gangs Of Wasseypur | গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর নামে পরিচিত ফাহিম খানের ছেলেসহ গুলিবিদ্ধ ২
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছেন মৃত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের বক্তব্য, শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া শ্রমিকরা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে।