ভাঙড় : আবারও ভাঙড়ে (Bhangar) তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। দলীয় কর্মীসভাতে অনুপস্থিত দলেরই অন্য গোষ্ঠীর নেতারা। এমনকি নির্ধারিত প্রতিবাদ সভার আগের দিনই গাড়ি হাঁকিয়ে দীঘায় (Digha) সময় যাপন আরাবুল (Arabul Islam) বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত মিজানুর আলম, প্রদীপ মণ্ডল, মহসিন গাজিদের। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সওকাত মোল্লা তৃণমূলের গোষ্টী কোন্দল মেটাতে পারলেন না? দল বিরোধী কাজ করলে দল থেকে বাদ দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি সওকাতের। ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক করা হয় ক্যানিং পূর্বের (Canning) বিধায়ক সওকাত মোল্লাকে। কিন্তু কোনওরকম ভাবে তিনি গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে পারছেন না বলে ভাঙড়ের অন্দরে কানাঘুষো চলছে।
শনিবার ভাঙড়ের কুলবেড়িয়াতে (Kulberia) কর্মী সম্মেলন ছিলো তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। বেঁওতা ২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এই সম্মেলন (Conference)। যে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সওকাত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, রহীম মোল্লারা। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না অঞ্চলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সঞ্জয় পৈলান, হাজি নুরুল ইসলাম, রশিদ গাজি সহ একাধিক নেতারা। পাশাপাশি এদিনের এই সম্মেলনে দেখা যায়নি বরাবরই আরাবুল বিরোধী হিসাবে পরিচিত প্রদীপ মণ্ডল, খইরুল ইসলাম, মিজানুর আলম, মহাসিন গাজিদের। আরাবুল ঘনিষ্ঠ শেখ সাবির এদিন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে বলে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা অনুপস্থিত ছিলো বলে সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন: International Tea Day | বঙ্গ জীবনের অঙ্গ, বাঙালি আজও তুফান তোলে চায়ের ঠেকে
রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের পোলেরহাটে (Polerhat) প্রতিবাদ সভা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সওকাত মোল্লা (Saokat Molla) তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লার ডাকে প্রতিবাদ সভা। কিন্তু সেই পোলেরহাট ১ অঞ্চলের অধিকাংশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নেই এলাকায়। পোলেরহাট ১ বা ভাঙড় তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এখন দীঘায়। তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, ভাঙড় বিধানসভা আইএসএফ মুক্ত করার জন্য যখন দল যখন একের পর এক কর্মসূচী পালন করছে তখন দলেরই অন্য গোষ্ঠী দীঘায় মত্ত! সূত্রের দাবি, প্রায় ১৫টি গাড়ি করে কমবেশী ১০০ জন ছোট – বড় তৃণমূল নেতারা দীঘায়। তবে এই বিষয়ে সওকাত মোল্লা বলেন, একটা অনুষ্ঠানে সকলকেই আসতে হবে এমন কোনও ব্যপার নয়। যাদের সুবিধা হবে তারাই আসবে। দল ঐক্য। দল বিরধী কাজ করলে দল তাঁদের বাদ দিয়েই চলবে। কোনও কোন্দল দল বরদাস্ত করবে না এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।