কলকাতা: রাজ্যপাল দুর্গা সম্মান দেবেন কেন, প্রশ্ন তুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রাজ্যপাল বা রাজভবনের সঙ্গে পুজর কোনও যোগাযোগ নেই, তাহলে তিনি দুর্গা সম্মান দিতে যাবেন কেন? দুর্গাপুজো সম্মান তো বিভিন্ন কোম্পানি দেয়, রাজভবন কি কোম্পানি হয়ে গিয়েছে? মেয়রের আরও প্রশ্ন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া রাজ্যপাল এই কাজ করেন কী করে?
এমনিতে উপাচার্য নিয়োগ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত লেগেই রয়েছে। ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ নিয়েও রাজভবন-বিধানসভা টানাপড়েন চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। যদিও বৃহস্পতিবার সেই টানাপড়েন মেটার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। রাজভবন জানিয়েছে, শনিবার সেখানেই নির্মলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: এবার অভিষেকের বাবা-মাকে তলব ইডির
এই পরিস্থিতেই এবার দুর্গা সম্মান নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরধ শুরু হল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। তৃণমূলের মতো বিজেপিও দুর্গাপুজোর মধ্য দিয়ে জনসংযোগ সারতে চাইছে। মেয়র এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, মানুষের সঙ্গে সারা বছর থাকতে হয়। শুধু পুজো করে নেতা হওয়া যায় না। তবে বিজেপি আমাদের সঙ্গে পেরে উঠবে না। ওঁদের লোকও নেই, তাছাড়া আমরা যেমন মানুষের সঙ্গে সারা বছর থাকি, ওঁরা টা থাকে না।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস চাইছেন, কলকাতা পুলিশের বদলে রাজভবনের নিরাপত্তা থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। এদিন মেয়র রাজ্যপালের এই বসনাকেও কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যপালের পদ ছেড়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে থাকুন। বাংলায় থাকব, অথচ বাংলার পুলিশ নেব না, এটা হয় নাকি? উনি আইন জানেন না? এখানে কিছু হলে এফআইআর কোথায় হবে? মেয়ত বলেন, পূর্বসূরী জগদীপ ধনখড়ের মতো এই রাজ্যপালঅ একটা লক্ষ নিয়ে চলছেন। অমিত শাহকে খুশি করে যদি কিছু পাওয়া যায়, তার চেষ্টা করছেন উনি। ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। উনিও এরকম কিছু হতে চান।
অন্য খবর দেখুন:
