১৬ বছর থেকে কাজের সঙ্গে যুক্ত, কাজ সূত্রেই বেশিরভাগ সময় কাটে মুম্বইয়ে। কিন্তু পুজো মানেই তাঁর কাছে কলকাতা। কিন্তু এবারের দূর্গা পুজোয় কী আলাদা কিছু থাকবে? নিজের মুখেই দুর্গাপুজো নিয়ে নিজের আবেগ অনুভূতির কথা শেয়ার করে নিলেন তিনি।
ছোটবেলার পুজোর সঙ্গে এখন পুজো, দুটোর মধ্যে পার্থক্য কতটা?
মালোবিকা: আমার ছোটবেলার পুজোর সঙ্গে এখনকার পুজোর পার্থক্য অনেকটা। ছোটবেলায় যেগুলি পেতাম না এখন সেই গুলো পাই। ছোটবেলায় অনেক বাধা মানতে হত, কিন্তু এখন স্বাধীনতা আগে থেকে অনেক বেশি। এখন ঠাকুর দেখার সুযোগ অনেক বেশি করে পাওয়া যায়।
করোনার সময়কার পুজোর সঙ্গে এখনকার পুজোর পার্থক্য
মালোবিকা: করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০-২০২১ এই সময়টা পুজো যেভাবে দেখছি, আমি সত্যি ভাবিনি কোনও দিন পুজো ওই ভাবে দেখতে পাব। কেউ কখনও দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি এরকম ভাবে বাংলাইকে দূর্গা পুজো কাটাতে হবে।
পুজোতে কোথায় কাটাবে, কলকাতা নাকি মুম্বই?
মালোবিকা: পুজোর জন্য আমি সব সময় কলকাতাতেই থাকি। আর যদি একদমই থাকতে না পারি তখন মাঝের মধ্যে আমি একটু বিদেশ ভ্রমণে চলে যাই। কিন্তু এই বছর আমি দুর্গাপুজোয় কলকাতাতেই কাটাব। বাড়ির লোকের সঙ্গে থাকব, সাজবো ঘুরবো, জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করব এবং আড্ডা মারব।
আড্ডা বলতে মনে পড়ল, পুজো আড্ডা বলতে তোমার কাছে কি ম্যাডক্স স্কোয়্যার?
মালোবিকা: না, পুজোর আড্ডা ম্যাডক্স স্কোয়্যার আমার কোনও দিনই হয়নি। কারণ আড্ডা দেওয়ার যে বয়স তা অর্থাৎ ১৬-১৭ বছর, ওই বয়সে আমি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ম্যাডক্স স্কোয়্যার ঠাকুর দেখা হয় কিন্তু ওই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গল্প বা আড্ডা মারতে যাওয়া হয়নি।
তোমার কাছে পুজোর মূল আকর্ষণ কী?
মালোবিকা: আমায় মুম্বইয়ে সবাই বলে যে এতো বছর কলকাতায় পুজো কাটাও এই বছর মুম্বইতে কাটাও, কিন্তু আমি ওদের বলতে চাই, কলকাতায় দূর্গা পুজোর মধ্যে যে বিষয়টি রয়েছে সারা বিশ্বে কোথাও নেই। তাই পুজো মানেই আমার কাছে কলকাতা, প্যান্ডেল ঘোরা, আলোর রোশনাই। সবতা নিয়েই কলকাতার দুর্গাপুজো সেরা।