Saturday, June 7, 2025
HomeআজকেAajke | আবার মুখ পুড়ল সিপিএমের, এটাই শেষ নয়, আরও আছে বাকি 

Aajke | আবার মুখ পুড়ল সিপিএমের, এটাই শেষ নয়, আরও আছে বাকি 

Follow Us :

অনেকের মনে আছে কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পরে যখন লোকসভার নির্বাচন এল তখন সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত বলেছিলেন, মায়াবতীর সঙ্গে জোট করাই যায়, উনিও হতে পারেন অকংগ্রেসি অবিজেপি থার্ড ফ্রন্টের মুখ। সেই সময়ের এক সমাজবাদী নেতা ঘরোয়া আলোচনায় বলেছিলেন, পগলা গ্যায়া ক্যায়া? এরকম একবার নয়, সিপিআইএম বিভিন্ন সময় এরকম একটা কিছু বলে, করে ঘটায় এবং তার পরে তার কোনও আলোচনা না করেই, ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে সেই আলোচনাকে থামিয়ে আবার নতুন আরেকটা ভুলের দিকে এগিয়ে চলে। সিপিএম-এর একটা ভুল শেষ হলেই জানবেন তারা মন দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে আরেকটা ভুল করার জন্য। সারা দেশের সমস্ত অকংগ্রেসি অবিজেপি নেতারা সেদিন পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলেন, ইরফান হাবিব ইত্যাদি বুদ্ধিজীবীদের সিপিএম-এর দিল্লি অফিসের বাইরে রীতিমতো হতচকিত, ক্রুদ্ধ অবস্থায় দেখেছি। তাঁদের সবার বক্তব্য ছিল, জ্যোতিবাবু প্রধানমন্ত্রী হোন। কিন্তু না, ওনারা তো বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লব করবেন, আর তাছাড়া ওনাদের সংবিধান তো বেদের চেয়েও কঠিন, সেখানে লেখা নেই অতএব প্রধানমন্ত্রী হলেন না জ্যোতি বসু, নাকের সামনে দিয়ে বাস হুউউস করে চলে গেল। তাতে কী? আবার তারপরেই তাঁরা বসে পড়লেন আবার ভুল করার জন্য। ঠিক সময় বুঝে মনমোহন সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিলেন। তার আগে এক ভদ্রলোক ব্রিগেডের জনসভায় জানিয়েই দিয়েছেন, কেন্দ্রের সরকার আমরা উঠতে বললে উঠবে, বসতে বললে বসবে। তা সেই সিদ্ধান্ত যে তাঁদের পথে বসাবে তা জানাই ছিল না এবং কেবলমাত্র সেদিনের সিদ্ধান্ত না নিলে এতদিনে আমরা দশম বামফ্রন্ট সরকার দেখতাম নিশ্চিত। সেই ভুল সিদ্ধান্তের পরে আবার তাঁরা মন দিয়ে বসে ভুলের পর আরও ভুল করার প্রস্তুতি নিয়েছেন, ভুলও করে চলেছেন। আজ সেটাই বিষয় আজকে, আবার মুখ পুড়ল সিপিএম-এর, এবং এটাই শেষ নয়, আরও আছে বাকি।

গত ১১ তারিখের গণশক্তি খুলুন। ১৭ তারিখ জ্যোতি বসু সেন্টার ফর স্যোশাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ-এর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আর সেই উপলক্ষেই এক আলোচনা সভার বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে। কেবল সেই দিনই নয়, তারপর থেকে ১৫ তারিখ অবধি রোজ গণশক্তির দু’ নম্বর পাতায় এই বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে সেদিনের আলোচনার বিষয় হল ‘ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রক্ষার চ্যালেঞ্জ’। বক্তার তালিকায় প্রথম নাম বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের, পরের নাম কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের, তারপরে সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু আর মহম্মদ সেলিমের নামও ছিল।

আরও পড়ুন: Aajke | তৃণমূল কি আবার ভাঙবে?

যখন ছাপা হয়েছে এই বিজ্ঞাপন, আমরা এই অনুষ্ঠানেই প্রশ্ন করেছিলাম কেন এই নীতীশ কুমার? যাঁকে দেশের রাজনৈতিক মহল পাল্টি কুমার, পাল্টু কুমার বলে জানে। কে এই নাম দিয়েছিল? লালু যাদব। তো এই নাম কেন? কিছু সাংবাদিক বলেছিলেন, বিহারের লোকসভা আসনের অন্তত একটা সেফ সিট পাওয়ার জন্যই এই তৈলমর্দন। হতেই পারে। আবার গত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে নীতীশ-মমতার যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা থেকে শত্রুর শত্রু আমার মিত্র গোছের একটা ব্যাপার হতেই পারে। তো যাই হোক তিনিই ছিল প্রধান বক্তা। এর মধ্যে এমন আলোচনাও হয়েছে যে অধীর চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে কেন আমন্ত্রিত নন? সাব্বাস আব্বাস সিদ্দিকি বা নওশাদ সিদ্দিকির কাছ থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন কমরেড সেলিম নিজেই। সেদিন ব্রিগেডের সভায় বুকে জাপটে ধরেও ফুরফুরা শরিফ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে চণ্ডীতলা আসনে তিন নম্বরে থাকার পরে সেলিমের এই বোধোদয় হয়েছিল, কিন্তু অধীর চৌধুরী নেই কেন? একসময় বুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, লালবাজারের লক আপে থাকার কথা যার সেই গুন্ডা এখন আমহার্স্ট স্ট্রিটের আরেক গুন্ডার বাড়িতে লুকিয়ে আছে। কোন কোন গুন্ডার কথা তিনি বলেছিলেন সব্বাই জানে। তো সেই অধীর চৌধুরীকে ডাকা হল না কেন? কারণ হিসেবে জানা গেল যে কং তৃণমূল জোট নিয়ে কোনও ইতিবাচক ফয়সালা হলে তো মুখ পুড়বে, অতএব অধীর বাদ। কিন্তু আজ সেই গণশক্তির দ্বিতীয় পাতা খুলে দেখি বিজ্ঞাপন আছে, দুটি নাম কাটা পড়েছে, নীতীশ কুমারের নাম নেই, পিনারাই বিজয়নের নাম নেই। মানে মাত্র গতকাল যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী, তাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট বহু আগে থেকেই নির্ধারিত হয়, তা সত্ত্বেও তাঁদের নাম ছিল, কিন্তু আজ সকালে তা গায়েব। কেন? কেউ জানে না, অ্যাট লিস্ট গণশক্তি বা সিপিএম বা কমরেড সেলিম কোনও কারণ জানাননি। এদিকে একদিন আগেই সন্দেশখালিতে ইডির ঘটনায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছিলেন অধীরবাবু। হাত পায়ের মতো মুখের উপরেও তাঁর কন্ট্রোল কোনওকালেই ছিল না আজও নেই কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। এটাও বড় কথা নয় যে শোনা গেল রাহুল গান্ধী নাকি তাঁকে অ্যাপ করে বকে দিয়েছে। বড় কথা হল নীতীশের দল, জেডিইউর তরফে বড় নেতা কে সি ত্যাগী গতকালই বলেছেন অধীর বিজেপির হয়ে খেলছে। ওরে ভাই এর নাম নীতীশ কুমার, উনি ভালো করে জানেন, কম করে হলেও এবারে মমতা গোটা ২৫-৩০টা সাংসদ নিয়ে লোকসভাতে যাবেন, সিপিএম ক’টা পাবে? সেটাও জানেন। কাজেই আলতো করে খেলে রেখেছেন। এমনকী নীতীশ কুমার এর মধ্যে আবার এনডিএ-তে ফিরে যাবেন না, সেরকম গ্যারান্টিও কেউ দিতে পারবে না। সিপিএম সম্ভবত বুঝেছে, নাম কাটা গেছে, বাংলা সিপিএম-এর উল্টো ধারে দাঁড়ানো পিনারাই বিজয়নও সম্ভবত সেই কারণেই আসছেন না। সে যাই হোক দুটো বিষয় নিয়েই মুখ পুড়েছে সিপিএম-এর, কিন্তু এখানেই কি শেষ? কখনওই নয়, আবার নিষ্ঠাভরেই তাঁরা নতুন ভুল করার জন্য নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবেন বলে আশা করাই যায়। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, সিপিএম-এর নেতারা এবং সিপিএম দল একটা ভুলের পরে আরেকটা ভুল, তারপরে আবার ভুল করতেই থাকেন, এবং সেই ভুলের পরে তাঁরা সেই ভুলের কারণ নিয়েও আলোচনা করতে চান না, এভাবে কি একটা রাজনৈতিক দল চলতে পারে? শুনুন মানুষজন কী বলেছেন।

সিপিএম-এর আপাতত সমস্যা হল গোটা দেশে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান। কেরালায় তারা সরকারে আছে বটে কিন্তু সেখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস, বিজেপি নয়। রাজস্থান বা তেলঙ্গানাতে যেটুকু সংগঠন আছে তা কংগ্রেস বিরোধিতার মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠেছে। বিহারে তাদের অবস্থান আরও গোলমেলে, সঙ্গী দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়া লালুপ্রসাদ আর পাল্টি কুমার, তাদের সমর্থন ছাড়া একটা এমএলএ-ও জিতিয়ে আনতে পারার মতো সংগঠন বিহারে নেই। তামিলনাড়ুতেও এক্কেবারে এক অবস্থা আর এই বাংলায় তাদের সঙ্গে আপাতত কংগ্রেস যারা আর কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের অফিসিয়াল ঘোষণা করবে। এই স্ববিরোধী অবস্থান নিয়ে এক রাজনৈতিক দলের টিকে থাকা সত্যিই খুব সমস্যার।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Donald Trump | Elon Musk | ট্রাম্প-মাস্কের তি/ক্ততা বাড়ছে কেন? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
01:02:30
Video thumbnail
Md Salim | সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম, দেখুন সরাসরি
01:57:35
Video thumbnail
Delhi High Court | বিদ্যালয় শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, অভিমত দিল্লি হাইকোর্টের, কী হবে এবার?
34:15
Video thumbnail
Narendra Modi | দেশের সঙ্গে রেলপথে জুড়ল শ্রীনগর, এবার রেলপথে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী
02:38:26
Video thumbnail
Narendra Modi | ২টি বন্দে ভারত পেল জম্মু ও কাশ্মীর
02:54:56
Video thumbnail
Kailash Vijayvargiya | মহিলাদের পোশাক নিয়ে এ কি বলে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়? কী বলছে তৃণমূল?
01:57:04
Video thumbnail
Tejashwi Yadav | বিহার চালাচ্ছেন ক্লান্ত মুখ্যমন্ত্রী আর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা, বিস্ফোরক তেজস্বী যাদব
01:33:25
Video thumbnail
Narendra Modi | প্রধানমন্ত্রীর মুখে আদিল শাহর নাম, কী বললেন?
01:03:25
Video thumbnail
Narendra Modi | কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরাট মন্তব্য মোদির
55:06
Video thumbnail
Vijay Mallya | 'অরুণ জেটলিকে বলেছিলাম লন্ডন যাচ্ছি', পডকাস্টে বি/স্ফো/রক দাবি বিজয় মালিয়ার
01:31:21