ধরমশালা: ১০০ রানে দুই উইকেট থেকে ২১৮ রানে অল আউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। এই সিরিজে ইংল্যান্ড দলের এটাই ‘বিশেষত্ব’। ভালো শুরু করে ভরাডুবি হওয়া। একাধিকবার ভারতকে চেপে ধরেছেন বেন স্টোকসরা, মাথা ঠান্ডা রাখলে যেখান ম্যাচ জেতার কথা তাঁদেরই। কিন্তু প্রতিবারই রাশ আলগা করেছে ইংল্যান্ড, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে ভারত। না হলে সিরিজের ফল অন্যরকম হতে পারত।
ধরমশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে দিনের শুরুতে বল সুইং করল ইংল্যান্ডের মতো। তারপর বল পুরনো হতেই পরিচিত ভারতীয় পিচ। বল ঘুরছে ভালোই, তবে এমনও নয় যে খেলা যাবে না। কিন্তু কুলদীপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের সামনে বড্ড সহজেই আত্মসমর্পণ করলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বেন ডাকেট, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, বেন ফোকসরা ভালো শুরু করলেন তারপর উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন।
আরও পড়ুন: পয়া মাঠে কুলদীপের ৫ শিকার, ধুঁকছে ইংল্যান্ড
Innings Break!
Outstanding bowling display from #TeamIndia! ? ?
5⃣ wickets for Kuldeep Yadav
4⃣ wickets for R Ashwin
1⃣ wicket for Ravindra JadejaScorecard ▶️ https://t.co/jnMticF6fc #INDvENG | @IDFCFIRSTBank pic.twitter.com/hWRYV4jVRR
— BCCI (@BCCI) March 7, 2024
অধিনায়ক স্টোকস সবথেকে হতশ্রী ব্যাটিং করলেন। কুলদীপের কোন বল কোনদিকে ঘুরবে বুঝতে পারছিলেন না তিনি, তাই সব বলেই ব্যাকফুটে গেলেন। পরপর কয়েকটা লেগস্পিন ডেলিভারির পর একটা গুগলি দিতেই এলবিডব্লিউ স্টোকস। খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। কুলদীপের পাঁচ উইকেটের পর শেষদিকে এসে রোলার চালালেন অশ্বিন। চার উইকেট নিলেন তিনি। জাদেজা পেলেন এক উইকেট।
ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ হওয়ার পর এক সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ল। সাধারণত পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলার ম্যাচ বলটি নিজের সংগ্রহে রাখেন। কিন্তু শততম টেস্ট খেলা অশ্বিনকে সেটি দিয়ে দেন কুলদীপ। অশ্বিন নেননি, তিনি কুলদীপকেই ফিরিয়ে দেন। মনে হল অশ্বিন বললেন, আমি কেন, পাঁচ উইকেট নিয়েছ তুমি, বলটা তোমার প্রাপ্য।
দেখুন অন্য খবর:
