নয়াদিল্লি: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্মতিসূচক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ ঠিক নয়, এমনটাই জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ভুয়ো প্রতিশ্রুতির অভিযোগ খারিজ করে বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছে। ২০২০ সালে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পরে মহিলা সরকারি ভাবে বিয়ে করতে চাইলে ব্যক্তি রাজি হন না। তার পরেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। সম্প্রতি সু্প্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সম্পর্কে থাকাকালীনই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল বলে মহিলা প্রমাণ করতে পারেননি সুতরাং বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতির প্রশ্ন উঠছে না।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৮)
২০২০ সালের মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সাতনা মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক মহিলা। তিনি অভিযুক্তের চেয়ে বয়সে দশ বছরের বড়। তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। মেয়ে এবং মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা। ২০১৭ সাল থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়েও করেন। তারপর থেকে একসঙ্গেই থাকছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: অরুণের ইস্তফায় শূন্যপদ বাড়ল নির্বাচন কমিশনে!
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলা এফআইআর-এ দাবি করেছিলেন ২০১৮-র ডিসেম্বরে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নথিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২০২১-এর জানুয়ারিতে। অর্থাৎ বিবাহিত অবস্থাতেই তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছে, মহিলা নাবালিকা নন যে, নিজের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা তাঁর ছিল না বা কোন কাজের কী পরিণতি হতে পারে সেটা তিনি জানতেন না। তিনি যা করেছেন জেনেবুঝেই করেছেন, বস্তুত নিজের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সম্পর্ক শুরুর সময় অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমন প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে আদালত। সব দিক খতিয়ে দেখেই সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলাও খারিজ করেছে।
আরও খবর দেখুন