নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে সিএএ (Citizenship Amendment Act)-র চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি। লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। তার আগেই সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশজুড়ে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার দীর্ঘ চারবছর পর চালু হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act)।
এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাংলায় সিএএ চালু করতে দেব না। নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা ছিল আজ মধ্যরাতেই দেশজুড়ে সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। কিন্তু সেই আশঙ্কা ভুল প্রাণ করে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার আগেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে সিএএ চালু করে দিল।
গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক অনুষ্ঠানে জানিয়ে ছিলেন লোকসভা ভোটের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। এমনকী বিজ্ঞপ্তিও জারি হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর গত কয়েকদিন ধরে বলে আসছিলেন ভোটের আগে সিএএ হবেই। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দুদিন আগে কিংবা আর্দশ আচরণবিধি চালু হওয়ার একঘন্টা আগেও সিএএ চালু হতে পারে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে সিএএ। তৃণমূলের দাবি ছিল উদ্বাস্তুদের ভাঁওতা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ-র কথা বলছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৯ দিনের মধ্যে চারবার বঙ্গ সফর করেছেন। তিনি আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসত, শিলিগুড়িতে জনসভা ভাষণ দিলেও একবারও সিএএ-র প্রসঙ্গ তোলেননি। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগেও বাংলায় মতুয়াদের নাগরিকত্ব ছিল বিজেপির অন্যতম বড় ইস্যু। সিএএ বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকে মমতা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন। তাঁর সিএএ বিরোধী ‘ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ’ স্লোগান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বঙ্গবাসীর একাংশের কাছে। এদিনও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলায় সিএএ হতে দেব না।