নদিয়া: কৃষ্ণনগরে (Nadia Krishnanagar) বিবস্ত্র অবস্থায় যুবতীর দেহ উদ্ধার। রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পাড়ায় এলাকা থেকে বুধবার দেহ উদ্ধার হয়। আশ্রম পাড়ায় এলাকার একটি মন্ডপের থেকে উদ্ধার যুবতীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের মুখে অ্যাসিডের ক্ষত রয়েছে। উদ্ধার হওয়া যুবতীর দেহের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। দেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
কৃষ্ণনগরের এসপি অফিসের কাছাকাছি রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন ও পোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালবেলায়, যখন কিছু মানুষ মর্নিং ওয়াক করার সময় প্রথমে মৃতদেহটি দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মৃত যুবতীর বয়স আনুমানিক ২০-২১ বছর এবং ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও তাকে হত্যা করে তার মুখে আগুন ধরিয়ে ওই এলাকায় মৃতদেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: মর্নিং ওয়াকের সময় প্রোমোটারকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটে গুলি
নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত উত্তর কালিনগর এলাকায় বাড়ি যুবতীর। মৃতার বাবা পিন্টু আচার্য ফুলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে মৃতার বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মৃতার যুবতীর পরিবারের লোকজন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এসে উপস্থিত হয়। পরিবার সূত্রে খবর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন ওই যুবতী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিশোরী নাচ, গান, পড়াশোনা এবং কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টার দিকে সে বাড়ি থেকে বের হয় এবং এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। কিশোরীর বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীর বন্ধু নানা অজুহাত দিয়ে পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশের তরফ থেকে ওই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন