কলকাতাঃ বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে ওপার বাংলার সদস্যদের। দিন যত এগোচ্ছে চাপ কমার বদলে দিন দিন চাপ আরও বাড়ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারহ করে ভারতের আদানি গ্রুপ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই উত্তাল সেখানকার বর্তমান রাজনীতি। ইতিমধ্যেই, আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বাংলাদেশে ঘন ঘন লোডশেডিং থেকে শুরু করে দীর্ঘক্ষণ এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা না আসা যেন এক নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি?
আরও পড়ুনঃ বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধে কড়া নির্দেশ ডিজি রাজীব কুমারের
আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানও হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সেখানকার বিদ্যুৎ সরবারহকারী সংস্থা আদানি পাওয়ারের কয়েক হাজার কোটি টাকা এখনও শোধ করেনি, তাই আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবারহ পুরোপুরি বন্ধ না করে ভারত থেকে বিদ্যুৎ পাঠানোর পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। আর এই আবহেই এবার আসরে নামল বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ সহ বাংলাদেশের বিদায়ী শাসক দল অওয়ামী লীগ সরকারের সম্পাদিত সমস্ত বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করে দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। যার জন্য একটি কমিটি গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
অন্যায্য ও দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি কেন বাতিল করা হবেনা, তা জানাতে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে রুলও। যেই চুক্তি পেশ করা হবে বিশেষ কমিটির দ্বারা। সেই কমিটিতে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের, নির্দেশ হাইকোর্টের। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ভারতের আদানি গ্রুপ ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি করে। আর সেই বিদ্যুৎ বিলি নিয়েই এবার বাংলাদেশের সাথে ভারতের আদানি গ্রুপের শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।
উল্লেখ্য, ভারতের ঝাড়খণ্ডের ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবারহ করে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানও হয় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ে ০.১০০৮ ডলার অর্থাৎ টাকা হিসেবে প্রতি উনিট ১২ টাকা। যা ভারতের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দামের থেকে ২৭% বেশি।
দেখুন অন্য খবর