নয়াদিল্লি: বিচারকের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ৫০ জন বিচারক নিয়োগের নির্দেশ ছিল ২০০৭ সালে। অথচ ২০২৪ সালে ২৫ জন বিচারকও নেই। এই নিয়েই উষ্মা প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের।
জনসংখ্যা পিছু বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত কম হওয়ায় ভারতে বিচার বিভাগীয় অফিসারদের বিপুল চাপ নিতে হয়। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এক দায়রা বিচারক সম্পর্কে দিল্লি হাইকোর্টের অভিমত খারিজ করতে গিয়ে মন্তব্য বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench)।
ডিভিশন বেঞ্চের অভিমত, প্রত্যেক বিচারক, তিনি যে পদে বা মর্যাদাসম্পন্ন হন না কেন, কাজে ভুল হওয়া সম্ভাবনা সকলেরই থাকে। যিনি অত্যন্ত ভালো বেশ কিছু রায় দিয়েছেন, সেই বিচারকও প্রবল কাজের চাপে ভুল করে ফেলতেই পারেন। যে ভুল সংশোধন করার দায়িত্ব উচ্চতর আদালতের। কিন্তু সংশোধন করতে গিয়ে নিম্ন আদালতের সেই অফিসার সম্পর্কে ব্যক্তিগত কোনও মন্তব্য করা অনভিপ্রেত। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যাঁরা সাংবিধানিক আদালতে বসি, আমাদেরও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ব্যক্তিগত সমালোচনা এবং তা নথিবদ্ধ করার প্রবণতা এড়াতেই হবে।
আরও পড়ুন: ফলপ্রকাশের দিনেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গোলযোগ!
আদালত জানায়, ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশে ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ৫০ জন বিচারক নিয়োগের নির্দেশ দিলেও এখনও তা ২৫ জনও হয়নি। অথচ জনসংখ্যা এবং মামলার সংখ্যা তখনকার তুলনায় এখন বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। তাই নিম্ন আদালতের বিচারকদের উপর কাজের চাপ কী পরিমাণ বেড়েছে, তার সহজেই অনুমেয়।
প্রসঙ্গত, জনসংখ্যা পিছু কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতির সংখ্যা ৭০ জনেরও বেশি হওয়ার কথা থাকলেও বিগত কয়েক দশকে কখনও সেই সংখ্যায় পৌঁছনো যায়নি। এমনকী রাজ্যের শীর্ষ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা ৩৫ থেকে ৪৫ জনের মধ্যেই অধিকাংশ সময়ে ঘোরাফেরা করেছে।
দেখুন অন্য খবর: