কলকাতা: ‘সত্তা কা খেল তো চলেগা, সরকারেঁ আয়েগি-জায়েগি…মগর ইয়ে দেশ রহনা চাহিয়ে…ইস দেশ কা লোকতন্ত্র অমর রহনা চাহিয়ে’। ১৯৯৬ সালে লোকসভার ভাষণে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীয়ে (Atal Bihari Vajpayee) বলা কথা ভারতীয় রাজনীতি চিরকাল অমর হয়ে রয়ে যাবে। আজ প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবর্ষ (Atal Bihari Vajpayee 100 year Birthday )। তাঁকে স্মরণ করে শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শতবর্ষে স্মৃতিসৌধ’সদৈব অটল’ এ শ্রদ্ধা জানালেন বাজপেয়ীর পালিত কন্যা নমিতা কৌল ভট্টাচার্য। শ্রদ্ধা জানালেন দেশ নেতারা। ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ।
তিনি ছিলেন দক্ষ রাজনীতিবিদ, একজন সুবক্তা, হাসিখুশি ব্যক্তিত্বের অধিকারী, কবি, সর্বোপরি দলমতনির্বিশেষে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। বিশ্বের দরবারে ভারতকে প্রথম পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছিলেন বাজপেয়ী। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েও দেশের স্বার্থে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও পিছপা হননি অটলবিহারী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, একবিংশ শতাব্দীর স্থপতি হিসাবে আমাদের দেশ অটলজীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি তাঁর জীবন আত্মনির্ভর, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ ভারত গড়ার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের
প্রযুক্তি, টেলিকম ও যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অটল বিহারী বাজপেয়ীর অবদানের কথাও স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থনীতি থেকে সমাজ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরলেন মোদি। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে প্রযুক্তিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি দেশকে সংযুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো প্রকল্প থেকে দিল্লি মেট্রো শুরু করেছিলেন। তাই বাজপেয়ী সরকার শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই করেনি, পাশাপাশি একতাও এনেছে।
অন্য খবর দেখুন