দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কথাতেই আছে ‘ সব তীর্থ বারবার , গঙ্গাসাগর একবার ‘। পুরনো বছরকে ভুলে নতুন বছরে পা দিয়েছি আমরা। বছরের শুরুতেই সবার যেমন বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা থাকে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে, ঠিক তেমনই জানুয়ারি মাসেই প্রতিবছরের মতো এবছরও পালিত হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। আর যা নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা একেবারে তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা পর্যন্ত। তবে এবার অশান্ত বাংলাদেশের আঁচ যাতে কোনভাবেই বাংলায় না প্রবেশ করতে পারে এবং গঙ্গাসাগর মেলাকে না ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে সেই জন্য এবার সুন্দরবনের জল সীমানায় নজরদারি বাড়াল জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জামিন হল না চিন্ময়কৃষ্ণের, জেলেই হিন্দু সন্ন্যাসী
সুন্দরবন জল সীমানা প্রায় ১৫০ কিমি দীর্ঘ। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং নৌ বাহিনী। পাশাপাশি কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেই জন্য সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকেও বঙ্গোপসাগর ও নদীতে এফআইবি দিয়ে সার্চিং অপারেশন এবং পেট্রলিং চলছে। উল্লেখ্য, গোবর্ধনপুর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ সাগরে চলছে এই পেট্রলিং। কোনভাবেই যাতে বাংলাদেশের আঁচ বঙ্গে না প্রবেশ করতে পারে সেই জন্য মৎস্যজীবীদের ট্রলারেও সমান বেগে চলেছে তল্লাশি। শুধুমাত্র তাই নয়, মৎস্যজীবীদের স্পষ্টত পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নদীতে যদি কোনরকম অচেনা কিছু চোখে পড়ে তা যেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়।
ইতিমধ্যেই বঙ্গে জাল পাসপোর্ট চক্রে বাংলাদেশিদের হাত রয়েছে সবচেয়ে বেশি। দিনের পর দিন এখানে জাল পাসপোর্ট চক্র সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাই গঙ্গাসাগরে যাতে কোনরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি না তৈরি হয় সেই জন্য সক্রিয় রাজ্য পুলিশ।
দেখুন অন্য খবর