নয়া দিল্লি: মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের বিতর্কের মধ্যেই সম্ভলে খুলে গেল ছয়টি মন্দিরের দরজা। হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ অবশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ বিতর্কিত মসজিদ কমিটির আবেদনের সাড়া দিয়ে নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দেয়, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে নিম্ন আদালতকে সম্পর্কিত মামলার শুনানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। একই সঙ্গে মসজিদ কমিটিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (High Court) আবেদন করার পরামর্শ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
ইতিমধ্যে এক আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট তথ্য জানার অধিকার অনুযায়ী সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আলিগড়ের দেওয়ানী আদালতে দাবি করেছেন, হিন্দু বৌদ্ধ ও জৈন মন্দিরের ওপর ওই মসজিদ মুঘল আমলে নির্মিত হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনটির শুনানির দিন ঘোষিত হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, আলিগড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, সরকারি অনুমতি ছাড়াই সরকারি জমিতে ওই মসজিদ রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী সেখানকার জামা মসজিদ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে বেআইনি ঘোষণার দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত ভাঙড়
অপরদিকে, ওই কমিটির আবেদন সূত্রেই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
উল্লেখ্য, যার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সৌধে এডভোকেট কমিশনার দ্বারা সমীক্ষার নির্দেশ জারি হয়, তা ১৯ ও ২৪ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্ট নিম্ন আদালতে মুখ বন্ধ খামে জমাও পড়েছে। ৫ মার্চ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। হাইকোর্টকে এই তথ্য জানানোর পরেই ৫ মার্চের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি।
অপরদিকে, মুসলিম অধ্যুষিতবরাণসীর মদনপুরা এলাকায় জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে একটি মন্দিরের দরজা খুলে গিয়েছে। শুধু তাই নয় সেখানে নিত্য পূজার্চনাও শুরু হয়েছে। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মন্দিরটি তালা বন্ধ হয়েছিল। তালা খোলার অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জানায়, সরকারি জমিতে অবস্থিত সৌধটি খোলা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, সম্ভল এবং ফিরোজাবাদে দুটি করে এবং মোরাদাবাদে একটি মন্দিরের দরজা দীর্ঘকাল বাদে ফের খুলে গিয়েছে।
দেখুন আরও খবর: