কলকাতা: এই ঘটনা বিরলের চেয়ে বিরলতম বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের তরফ থেকে সাফ দাবি, নির্যাতিতা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার পরিবার নিজেদের মেয়ে নয়, সমাজ একজন ডাক্তার হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের তরফ থেকে আরও দাবি করা হচ্ছে, সেই চিকিৎসক সেদিন টানা ৩৬ ঘন্টা কাজ করার পর তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই নয়, নির্যাতিতার বাবা-মা, চিকিৎসক সবাই সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করেছেন। অন্যদিকে, আজ জেলা সফরের জন্য বেড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের জন্য বেড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমিও এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের দাবি করছি’। এবার সবার নজর সেদিকেই কোন সাজা পেতে চলেছে সঞ্জয়।
আরও পড়ুন: ২:৪৫ এ সাজা ঘোষণা সঞ্জয়ের, জানাল আদালত
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।
শনিবার আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘ ৯ অগাস্ট ভোরে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে মৃত জুনিয়র চিকিৎসকের উপর আক্রমণ করেন এবং যৌন হেনস্থা করেন। শুধু ধর্ষণ নয়, তাঁর গলা টিপে খুন করে সঞ্জয়। ‘
দেখুন অন্য খবর