কলকাতা: দুপুর ২:৪৫ এ আজ আরজি কর কান্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হবে। জানালেন বিচারক অনির্বাণ দাস। আর দেড় ঘণ্টা পর এই রায় দেওয়া হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নাকি মৃত্যুদণ্ড কোন সাজা দেওয়া হবে ধৃতকে? এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বঙ্গবাসী। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই সিবিআই , চিকিৎসকেরা, এবং নির্যাতিতার বাবা-মা সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছেন।সিবিআইয়ের তরফ থেকে, এই ঘটনাকে বিরলের চেয়ে বিরলতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেছে। এখন কী সাজা দেওয়া হয় তাকে সে দিকেই সকলের নজর।
বিচারপতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে সমস্ত সওয়াল জবাব পর্ব শেষ। শনিবার আরজি কর কাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। যেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই এই ঘটনায় দোষী বলে দাবি করা হয় আদালতের তরফ থেকে। আদালত সাফ জানায় সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই। যদিও আদালতে শনিবার চেঁচিয়ে বলে সে নির্দোষ। আদালতের তরফ থেকে আগেই জানানও হয়েছিল আজ তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ধৃত সঞ্জয় রায় আজ আদালতে ফের দাবি করেন, ‘তিনি নির্দোষ’ তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার আগে কী চলছে আদালতের ২১০ নং কক্ষে?
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।
শনিবার আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘ ৯ অগাস্ট ভোরে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে মৃত জুনিয়র চিকিৎসকের উপর আক্রমণ করেন এবং যৌন হেনস্থা করেন। শুধু ধর্ষণ নয়, তাঁর গলা টিপে খুন করে সঞ্জয়।’
আজ সিবিআই আদালতে এই ঘটনা বিরলের চেয়ে বিরলতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত বলে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। অন্যদিকে, আজ জেলা সফরের জন্য বেড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের জন্য বেড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমিও এই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের দাবি করছি’। এবার সবার নজর সেদিকেই কোন সাজা পেতে চলেছে সঞ্জয়।
দেখুন অন্য খবর