কলকাতা: আজ শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ ও খুনের মামলার চূড়ান্ত শুনানি চলছে। বিচারক সঞ্জয় রায়কে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়েছে। ৬৪ ধারা অনুযায়ী তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) দেওয়া হতে পারে এবং মৃত্যুর জন্য ফাঁসির (Death Sentence) সাজাও প্রযোজ্য হতে পারে। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy) নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি করিনি। রেপ আর মার্ডার পুলিশ সব দেখেছে। এত কিছু নষ্ট হয়েছে বলে শুনেছি। রুদ্রাক্ষের মালা কি নষ্ট হত না?” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সঞ্জয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, তাকে বেহালায় নিয়ে যাওয়া হয়নি এবং মেডিক্যাল টেস্ট কমান্ড সেন্টারে করা হয়।
বিচারক সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর পরিবারের সম্পর্কে। উত্তরে সঞ্জয় জানান, তাঁর মা ছাড়া আর কেউ নেই এবং পরিবারের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। বিচারক তাঁকে আরও কিছু জানাতে চাইলে, তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, “না, আমায় দোষী করা হয়েছে স্যার।”
আরও পড়ুন: “ও ততটাও খারাপ নয়…”, সঞ্জয়ের চরিত্র নিয়ে মন্তব্য প্রতিবেশীদের
এদিকে সিবিআই-এর (CBI) পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরল এবং অত্যন্ত নির্মম। তারা আদালতের কাছে সঞ্জয়ের জন্য সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ ফাঁসির আবেদন জানায়। সিবিআই-এর বক্তব্য অনুযায়ী, ডিউটিরত চিকিৎসকের উপর এমন নির্যাতনের ঘটনা নজিরবিহীন।
এসব শুনে বিচারক জানান, মামলার প্রমাণ ও সাক্ষ্য যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বলেন, “আপনাকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়েছি। যা প্রমাণ এসেছে, তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যা মনে হয়েছে, সেটা সঠিক।” সেই সময় কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন সঞ্জয়। আদালতে তার মনোভাব দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনি শাস্তির ভয় ও হতাশায় নিমজ্জিত।
দেখুন আরও খবর: