ওয়েব ডেস্ক: আট দিনের জন্য মহাকাশে পাঠানো হলেও, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে গত ৯ মাস মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। দীর্ঘদিন পর পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং বুচ উইলমোর (Butch Wilmore)। তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য পাঠানো মহাকাশযান ক্রিউ-১০ (SpaceX Crew-10)। আগামী বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এই চার নভোচারীকে নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেস-এক্সের মহাকাশযান। ফিরলেও ঠিক ভাবে হাঁটার ক্ষমতা থাকবে না তাঁদের। এ ছাড়াও একাধিক ভোগান্তির শিকার হতে পারেন দুই মহাকাশচারী। নানা শারীরিক জটিলতায় জর্জরিত হতে হবে সুনীতা ও বুচকে। মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বেবি ফিট: দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে হাঁটাচলা বন্ধ ছিল সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের। অভিকর্ষ বল না থাকার ফলে পায়ের তলার শক্ত চামড়া নরম হয়ে যায়। এর জেরে পৃথিবীতে ফিরে হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করতে পারেন মহাকাশচারীরা। পা ফেলতে গেলেও কষ্ট হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েক সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি’ ফিরতে পেরে ট্রাম্প-মাস্ককে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সুনীতারা
হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া: নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিমাসে মহাকাশচারীদের ওজন বহনকারী হাড় প্রায় ১% ঘনত্ব হারায়, যা অনেক ক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা দীর্ঘ নয় মাস মহাকাশে ছিল যার যেরে তাদের হাড়ের ঘনত্ব অনেকটা কমে গিয়েছে।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা: দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার ফলে চোখের আকৃতিও পরিবর্তিত হয় মহাকাশচারীদের। পৃথিবীতে ফেরার পর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরতে সময় লাগে। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
রক্তচাপের পরিবর্তন: মহাকর্ষের অভাবে রক্তপ্রবাহের স্বাভাবিক গতিবিধি বদলে যায়। মহাকর্ষের মহাকাশচারীর দেহে রক্ত পাম্প করতে হয় না এবং খুব কম পরিশ্রম করতে হয়। শরীরে রক্ত যেভাবে প্রবাহিত হয় তাও পরিবর্তিত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও থাকে। রক্তচাপও ওঠানামা হতে পারে দুই মার্কিন নভোশ্চরের।
বিপজ্জনক রেডিয়েশন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্র মানব দেহকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশে এ ধরনের প্রতিরক্ষা নেই। ফলে মহাকাশচারীরা উচ্চমাত্রার রেডিয়েশনের মুখে পড়েন, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পৃথিবীতে পা রাখতেও এই সমস্যার মুখে পড়বেন উভয় মহাকাশচারী।
অন্য খবর দেখুন