ওয়েব ডেস্ক: ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহে (Severe Heatwave) জ্বলছে ইউরোপ (Europe)। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, তুরস্ক— প্রায় সব জায়গাতেই রেকর্ড গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি। কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে, কোথাও আবার ছুঁয়ে ফেলেছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) তুলনায় দ্বিগুণ হারে তাপমাত্রা বাড়ছে সেখানে। শীতপ্রধান মহাদেশের এই আবহাওয়া একদিকে যেমন জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, তেমনই তৈরি করছে পরিবেশগত বিপর্যয়। কেমন পরিস্থিতি ইউরোপজুড়ে? চলুন একটু বিস্তারে দেখে নেওয়া যাক।
ফ্রান্স: ফ্রান্সের বেশ কিছু অঞ্চলে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৬টি অঞ্চলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। দেশজুড়ে প্রায় ১,৯০০-রও বেশি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি, পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ আইফেল টাওয়ারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে জ্বলছে ইউরোপ! কেন এভাবে আবহাওয়ার চরিত্র বদলাচ্ছে?
ইতালি: ইতালির মিলান, রোম-সহ ১৭টি জায়গায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। অতিরিক্ত গরমে বোলোনা শহরে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। বিদ্যুৎবিভ্রাটও দেখা দিচ্ছে নানা এলাকায়।
স্পেন: স্পেনের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর লা গ্রানাদোতে রবিবার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ৬০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। স্পেনের সরকারি আবহাওয়া সংস্থা জুন মাসকে দেশের ইতিহাসে ‘উষ্ণতম’ মাস হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
পর্তুগাল: ইউরোপের মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহে পুড়ছে পর্তুগাল। মঙ্গলবার মোরা শহরের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লিসবনেও পারদ পৌঁছতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে।
গ্রিস-তুরস্ক: তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে দাবানলেও নাজেহাল গ্রিস এবং তুরস্ক। গ্রিসের দক্ষিণ আথেন্সে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। একই অবস্থা তুরস্কেও, যেখানে দাবানলের পাশাপাশি গরমের মাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
যুক্তরাজ্য: ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হলেও ব্রিটেনেও তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্ট চলাকালীন এমন তাপপ্রবাহে খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে অসুস্থতার ঘটনাও সামনে এসেছে।
দেখুন আরও খবর: