ওয়েব ডেস্ক: এই প্রথমবার মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে দেশজুড়ে এত উন্মাদনা, এত উত্তেজনা। নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম আজ ভেসেছে নীলের জোয়ারে। হরমনপ্রীত, জেমিয়া, শেফালী, রিচা, দীপ্তি, স্মৃতিদের জন্য আজ শুভকামনা জানিয়েছে গোটা দেশ। আর ভারতীয় ক্রিকেটের এই ঐতিহাসিক দিনে ইতিহাস লিখেই ফেলল দেশের বীরাঙ্গনারা। গতবছর যে কাজ করেছিলেন রোহিত শর্মা, এবছর তাই করে দেখালেন হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। মুম্বইয়ের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওডিআই বিশ্বকাপ (ICC Women’s ODI World Cup) জিতল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল (India Women Cricket Team)।
এদিনের ম্যাচের আগে ভারী বৃষ্টির কারণে টস ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এরকম পিচ পেলে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে কে না চায়! দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন লওরা উলভার্ট সেটাই করলেন এদিন। কিন্তু টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটাররা বিষয়টাকে এতটাও পাত্তা দেননি। ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু করেন শেফালী বর্মা এবং স্মৃতি মন্ধানা। ১০৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ হয় দুজনের মধ্যে। ৪৫ রানে আউট হন স্মৃতি। সেমিফাইনালের নায়িকা জেমাইমা রদ্রিগেজ, হরমনপ্রীত কৌররা বড় রান না পেলেও শেষদিকে হাল ধরেন দীপ্তি শর্মা এবিং রিচা ঘোষ। ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন রিচা। দীপ্তি করেন রান। শেষমেষ ৭ উইকেটে ২৯৮ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ভারত!
দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল গোটা ম্যাচজুড়ে, কিন্তু শেষ করতে পারল না সেভাবে। সব ভালো হলেও শেষ ভালো না হওয়াটার সঙ্গে যদিও দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত এই দেশের ক্রিকেট। তাছাড়া প্রোটিয়াজ অধিনায়ক লওরা উলভার্টের ঝকঝকে ১০১ রানের ইনিংসের পরেও এই ম্যাচে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। আরও একটা বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হার। ক্যাপ্টেন ভালো খেললেও লম্বা টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে আর কোনও প্রোটিয়াজ ব্যাটার সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। আদলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ জয় ও হারের মাঝে ব্যবধানটা তৈরি করে দেয় ফিনিশিংয়ের অভাব। দীপ্তি শর্মা একাই ৪ উইকেট নেন এবং ভারতকে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দেয়।
ভারতের এবারের বিশ্বকাপ জয়ের এই ইতিহাসটা মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব। মেয়েদের এই দাপট লিখে রাখা হবে ইতিহাসের খাতায়। সেই সঙ্গে ভারতের বুকে একটা নতুন জায়গা তৈরি হবে মহিলাদের ক্রিকেটের জন্য, বাড়বে জনপ্রিয়তা। তবে এই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নেপথ্য নায়ক অমল মজুমদারকেও (Amol Majumdar) একইসঙ্গে মনে রাখবে দেশ, যিনি নিজে না খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেও গুরু হিসেবে দেশকে এনে দিলেন এক অমূল্য সম্পদ।
দেখুন আরও খবর:







