ওয়েব ডেস্ক: ২০১৯ সালের মশলা বন্ডে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে এবার ইডির নোটিস পেলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সূত্রের খবর, বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শুধু মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নয়, পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত সচিব কে এম আব্রাহাম এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। সোমবার ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৪৬৬ কোটি টাকার ফেমা শোকজ নোটিসে বিজয়ন বা অন্যদের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।
বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে ‘মশলা বন্ড’ ছেড়ে ২০০০ কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযোগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) অনুযায়ী প্রায় ১০-১২ দিন আগে এই নোটিস দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরআগেও, কেআইআইএফবি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মশলা বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেই বছরই ১ এপ্রিল, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের আন্তর্জাতিক সিকিউরিটিজ মার্কেটে এটি তালিকাভুক্ত হয়। জমি কেনার জন্য এই বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকার ব্যবহার এবং ফেমা-র নিয়ম ভাঙার অভিযোগে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: “সংসদ নাটকের জায়গা নয়”, বিরোধীদের তোপ মোদির
যদিও, এই নোটিসকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০২০ সালের স্থানীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে কেরালার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বারবার ইডি এই ‘মশলা বন্ড’ ইস্যু ব্যবহার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, মশলা বন্ডের ছাড়পত্র দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সব পদক্ষেপ আরবিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষেই করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। আইজ্যাক বলেন, বন্ডের টাকা ব্যবহার করে কখনও জমি কেনা হয়নি। তাঁর দাবি, জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “অধিগ্রহণের সময়, আরবিআই জমি কেনা যাবে না এমন শর্তও বাতিল করে।” প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নোটিসের কী উত্তর দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।
দেখুন খবর:







