পূর্ব বর্ধমান : ভোট পরবর্তী হিংসায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বুধবার বর্ধমান শহরের বেলপুকুর এলাকায় তদন্তে যায় চার সদস্যর সিবিআইয়ের দল। তারা এদিন দুপুরে বেলিপুকুর এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মৃত নারায়ণ চন্দ্র দে’র পরিবারের সঙ্গে ঘটনার বিষয় নিয়ে কথাও বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই সিবিআই দলের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বর্ধমান থানার আধিকারিকরা। জানা গেছে, বর্ধমানের ভোটের পরে বেলপুকুর এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতা ও পেশায় টোটো চালক নারায়ন চন্দ্র দে বাড়ি ফেরার সময় এই সংঘর্ষের মধ্য জড়িয়ে পড়েন। তাতেই গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি এবং পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ৬ মে বর্ধমান হাসপাতালে মারা যান নারায়ন বাবু। তার তদন্ত করতে বুধবার বর্ধমানে নারায়ণ চন্দ্রর বাড়ি যায় সিবিআই। ঘটনার দিন কী হয়েছিল, কী ভাবে মারা যান তিনি, কোথাও অভিযোগ জানানো হয়েছিলো কিনা, এই সব বিষয় নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ওই ৪ সদস্যের সিবিআই দল।
আরও পড়ুন : বিজেপি কর্মী খুনের তদন্তে কোর্ট গ্রামে ১৩ জনের বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা
স্থানীয় এক প্রতিবেশী জানান, অসুস্থ ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র দে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দে ওই বাড়িতে থাকতেন। টোটো চালাতেন নারায়ণ দে। তিনি অসুস্থ হয়ে প্রথমে হাসপাতালে এবং তারপর কিছু দিন নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। ওই প্রতিবেশী জানান, ২ তারিখে গ্রেফতার হন নারায়ণ দে। তারপর তাঁর মৃত্যুর খবর পান এলাকাবাসীরা।