কলকাতা: হলদিয়ার (Haldia) ইন্ডিয়াল অয়েলে (IOS) আগুন লাগার ঘটনায় গুরুতর জখমদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে সতেরো জনের চিকিৎসা চলছে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহতদের শরীর আগুনে ঝলসে গিয়েছে। দেহের পঁচিশ থেকে পঁচাত্তর শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তাঁদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহতদের চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের কারখানায় আগুন লাগে। শাট ডাউন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল সে সময়। আচমকাই একটি ফুলকি থেকে বিধ্বংসী আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই তিন জন কর্মীর মৃত্যু হয়। চুয়াল্লিশ জন আহত হন। এদের মধ্যে সাঁইত্রিশ জনকে মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। গ্রিন করিডরের সাহায্যে কলকাতায় নিয়ে এসে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। জখমদের মধ্যে অনেকেই আগুনে পুরোপুরি ঝলসে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে কেন আগুন, কারণ খুঁজতে রাজ্যের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে

ই এম বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহতরা ভরতি রয়েছেন। কলকাতা টিভি টিম ডিজিটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। হাসপাতাল জানিয়েছে, বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভরতি রয়েছেন আহতরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল তৈরি করা হয়েছে। রয়েছেন প্লাস্টিক সার্জন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক, ইএনটি বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজিস্ট, পালমোনোলজিস্ট।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার হলদিয়া রিফাইনারির ন্যাপথা ইউনিটে সমস্ত কাজ বন্ধ ছিল৷ কী ভাবে আগুন লাগল, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে আইওসি এবং রাজ্য সরকার পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে এ দিন সকালে অস্থায়ী শ্রমিকরা দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বিক্ষোভ দেখান। পরে দুপুর নাগাদ রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেনকুমার মহাপাত্র ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।