রানাঘাট: বিজেপির রাজ্য কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ(BJP MLAs Whatsapp Group) থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নদিয়ার কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়(MLA Ambika Roy) রবিবার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেভাবে রাজনীতি জোড়া হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ভুলবশত তিনি গ্রুপ থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। দলের এরকম অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের নবনিযুক্ত সভাপতি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটি সামান্য একটি ঘটনা, যা বড় করে দেখানো হচ্ছে।
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর কমিটিতে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই, এই অভিযোগে নদিয়ার তিন বিধায়ক অম্বিকা রায়, মুকুটমণি অধিকারী এবং অসীম সরকার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। গত লোকসভা এবং শেষ বিধানসভা ভোটে মতুয়াদের বদান্যতায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উত্থান হয়েছে বিজেপির (BJP)৷ এই ঘটনায় সেই মতুয়াদের মধ্যেই বিদ্রোহের আগুন ছড়াল বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের৷ বড়দিনে দলের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে হঠাৎ বেরিয়ে যান পাঁচ বিজেপি বিধায়ক৷ যা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে৷এদিন হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, পরিবারের দুজন থাকলেই ঝগড়া মনোমালিন্য হয় আর বিজেপি তো অনেক বড়ো পরিবার। শান্তনু ঠাকুর-সহ সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে সব সমস্যা মিটে যাবে।
আরও পড়ুন: Haroa hospital: ‘আইনি’ গেরোয় ভর্তি নিল না হাসপাতাল, গেটের সামনে
সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিদের প্রাধান্য না-দেওয়াতেই তাঁরা সমস্ত গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন৷ ওই বিধায়করা হলেন মুকুটমণি অধিকারী, অসীম সরকার, সুব্রত ঠাকুর, অম্বিকা রায় এবং অশোক কীর্তনিয়া৷ বিধানসভা ভোটে এঁরা সকলেই মতুয়াদের সমর্থনে (Matua Community) জিতেই বিধায়ক হয়েছেন৷ শান্তনু ঠাকুররা ভেবেছিলেন, জেলা সংগঠনের দায়িত্বে মতুয়াদের মধ্যে থেকে কাউকে বেছে নেওয়া হবে৷ তা না হওয়ায় শনিবার একসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন পাঁচ বিধায়ক৷ যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে৷ যদিও রাজ্য নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ৷