Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeদেশ5G | 6G | ৬জি পরিষেবার দিকে অগ্রসর ভারত! কতটা আলাদা হতে...

5G | 6G | ৬জি পরিষেবার দিকে অগ্রসর ভারত! কতটা আলাদা হতে চলেছে ৫জি থেকে?

Follow Us :

নয়াদিল্লি: সবে ছয় মাস সময় অতিক্রান্ত, দেশে ৫জি পরিষেবা রোল আউট (5G Roll Out) হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশের সমস্ত স্মার্টফোন ইউজারের (Smartphone Users) কাছে ৫জি পরিষেবা পৌঁছায়নি। দেশের বহু স্মার্টফোন ইউজারের পকেটে এখনও ৪জি হ্যান্ডসেট (4G Handset) রয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে দেশে ৬জি পরিষেবা (6) নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi, Prime Minister of India) ৬জি ভিশন ডকুমেন্ট (6G vision Document) উন্মোচন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এটাও উল্লেখ করেছেন, টেলিকম টেকনলজি কনজিউমার (Consumer of Telecom Technology) নয়, ভারত এবার ভবিষ্যতের দিকে চোখে রেখে বৃহৎ প্রযুক্তি রফতানিকারক দেশ (Biggest Exporter of Technology) হয়ে উঠতে চায়।  

মোদি সেদিন কী বলেছেন? “৫জি পরিষেবা চালু হয়েছে ৬ মাস হয়েছে, আর আজ আমরা ৬জি কথা বলছি। এটা ভারতের আত্মবিশ্বাসকেই (Confidence) তুলে ধরছে। আমরা আজ ভিশন ডকুমেন্টস নিমে এসেছি। এটা ৬জি পরিষেবা চালুর জন্য বড় মঞ্চ হয়ে উঠবে।”

ভারত ৬জি ভিশন ডকুমেন্টস (Bharat 6G Vision Document) উন্মোচন করে ৬জি টেস্ট বেডের (6G Test Bed) ঘোষণা করেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, দেশ ডিজিটাল বিপ্লবের (Digital Revolution) পথে অগ্রসর।

আরও পড়ুন: Kartick Aaryan | Protien Police | ‘প্রোটিন পুলিশ’ কার্তিক 

৬জি টেস্ট বেড কী?

টেস্ট বেড আসলে কী? এটি একটি পোশাকী ভাষা, যার অর্থ মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্ম (Platform), যেখানে নতুন প্রযুক্তির ট্রায়াল (Trial of New Technologies) নেওয়া হয়, তারপর তা সর্বসাধারণের জন্য উপলব্ধ করা হয়। মোদি যে ৬জি টেস্ট বেডের কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে নতুন প্রযুক্তির ট্রায়াল নেওয়া হবে এবং ৬জি সংক্রান্ত গবেষণা চালানো হবে। যাঁরা জানেন না, তাঁদের জন্য বলে রাখা, ৬জি অর্থাৎ সিক্সথ জেনারেশন হলো ওয়ারলেস কমিউনিকেশন টেকনলজির আগামী জেনারেশন (Next Generation of Wireless Communication Technology)। 

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিকশিত ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজির (ICT Technologies) পরীক্ষা ও যাচাই করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (Academic Institutions), শিল্প (Industries), স্টার্ট-আপস (Start-Ups), এমএসএমই (MSME) একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে। এর ফলে দেশে উদ্ভাবন (Innovation), সক্ষমতা বৃদ্ধি (Capacity Building) এবং দ্রুত প্রযুক্তি গ্রহণের (Faster Technology Adoption) পরিবেশ সক্ষম করতে সহায়তা হবে।

৫জি ও ৬জি-র মধ্যে পার্থক্য কী? 

হাই-স্পিড মোবাইল ইন্টারনেটের (High-Speed Mobile Internet) দিক থেকে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তিকে গেমচেঞ্জার (Gamechanger) হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ৪জি প্রযুক্তির চেয়ে ৫জি প্রযুক্তিতে ডাউনলোড স্পিড ১০ গুণ বেশি। আর ৬জি পরিষেবায় আল্ট্রা-লো ল্যাটেন্সি (Ultra-low Latency) সহ প্রতি সেকেন্ডে ১ টেরাবাইট ডাউনলোড স্পিড দেবে। আরও সহজ করে বললে, ৫জি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ স্পিডের চেয়ে ১০০০ গুণ স্পিড বেশি হবে। 

ল্যাটেন্সি কাকে বলে?

ল্যাটেন্সি বলতে বোঝায়, যে কোনও নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনে হওয়া দেরি বা বিলম্ব (Delay)। তবে দেরি বলতে আক্ষরিক অর্থে দেরি নয়। এর মানে হলো, সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্কে ডেটা ট্রান্সফার হতে যে সময় লাগে, তাকে ল্যাটেন্সি বলা হয়। ল্যাটেন্সি যত কম হয়, তত বেশি স্পিড হয় আপলোড-ডাউনলোডের ক্ষেত্রে। রিয়েল-টাইম গেমিং (Real-time gaming), অটোনমাস ড্রাইভিং (Autonomous Driving) এবং রিমোর্ট সার্জারির (Remote Surgery) ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

৬জি পরিষেবা ৫জি-র চেয়ে আরও বেশি এনার্জি-এফিসিয়েন্ট (more energy-efficient) হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে বেতার যোগাযোগের পরিবেশগত প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে। প্রত্যাশা রয়েছে ৬জি পরিষেবায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। যেমন – টেরাহার্ৎজ ওয়েভ এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Terahertz Waves and Artificial Intelligence)। 

৩জি, ৪জি, ৫জি? 

২০১০ সালে ভারতে ৩জি পরিষেবার সূচনা, ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল ৪জি পরিষেবা আর ২০২১ সালে এসে ৫জি পরিষেবা রোল আউট হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে থেকে এখনও পর্যন্ত ধরলে, ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা ২৫ কোটি থেকে বেড়ে ৮৫ কোটি হয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ১০০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহার হয় ভারতে। মোবাইল ফোনে যুক্ত থাকার দিক থেকে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। ৫জি পরিষেবা দেশে চালু হয়েছে গত অক্টোবরে। তারপর থেকে বিগত ১২০ দিনে ভারতে ১২৫টি শহরে ৫জি পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments