ভিলারিয়াল–১ বায়ার্ন মিউনিখ–০
(আর্নাউট ডানজুমা)
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরাট অঘটন। ছয় বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল স্পেনের ক্লাব ভিলারিয়াল। বায়ার্ন মিউনিখ অবশ্য ফিরতি কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে এই হারকে এড়িয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু রবার্ট লেওনডস্কি এবং টমাস মুলারদের দাঁড় করিয়ে রেখে ভিলারিয়ালের এই জয় তাদের ক্লাবের ইতিহাসে তো বটেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে একটা স্মরণীয় ঘটনা হয়ে রইল। জার্মানির বুন্দেশলিগায় বায়ার্ন মিউনিখ এখন সবার আগে। আর স্পেনের লা লিগায় ভিলারিয়াল রয়েছে বারো নম্বরে। তাই দুটো টিমের শক্তির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কিন্তু গত বারের ইউরোপা কাপ চ্যাম্পিয়নরা বিভিন্ন সময়ে অঘটন ঘটিয়েছে। বুধবার রাতেও ঘটাল। ম্যাচের আট মিনিটেই গোলটি করে ফেলেন আর্নাউট ডানজুমা। পঁচিশ বছরের ডানজুমার জন্ম নাইজিরিয়ায়। তবে তিনি নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের ফুটবলার। খেলেন উইঙ্গার পজিশনে।
আট মিনিটের মাথায় ডানি পানজোর শট বায়ার্ন গোলকিপার ম্যানুয়েল ন্যয়ারের হাতে লেগে ফিরে এলে ডানজুমা বল গোলে ঠেলে দেন। ভিলারিয়াল আরও বেশি গোল করতে পারত। তাদের টিমের এক নম্বর স্ট্রাইকার জেরার্ড মোরেনোর শট বারে লেগে ফিরে আসে। আরও একবার বল ক্লিয়ার করতে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফাঁকা গোল ফেলে রাখেন ন্যয়ার। কিন্তু মোরেনোর দূর পাল্লার শট অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়। আসলে এক একটা দিন এমন যায় যে কোনও কিছুই ঠিকঠাক মতো চলে না। বুধবার বায়ার্ন মিউনিখের ছিল সে রকমই একটা দিন। তাদের কোচ জুলিয়েন নাগলসম্যান স্বীকার করে নিয়েছেন ” রাতটা আমাদের ছিল না। আমাদের হারই প্রাপ্য ছিল।” আর ভিলারিয়ালের কোচ উনাই আমরি বলেছেন, “এখনও আনন্দ করার কিছু হয়নি। ফিরতি লিগের খেলা এখনও বাকি।” শেষ পর্যন্ত ফিরতি কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে বায়ার্ন যদি জিতেও যায় তা হলেও ভিলারিয়ালের কাছে এই হারের কথা ফুটবলপ্রেমীরা খুব তাড়াতাড়ি ভুলতে পারবেন না।