সোমবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে এবারের আই এস এল-এর দুই লাস্ট বয়ের লড়াই। এস সি ইস্ট বেঙ্গল মুখোমুখি হবে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। লিগ টেবলে ইস্ট বেঙ্গল আছে সবার শেষে। আঠেরো ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দশ। আর নর্থ ইস্টের অবস্থা একটু ভাল। উনিশ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট তেরো। সোমবারই তাদের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচ তারা যদি না হারে তাহলে ইস্ট বেঙ্গলই শেষ পর্যন্ত লাস্ট বয় হয়ে যাবে। গত বছর নর্থ ইস্ট সেমিফাইনাল খেলেছিল। এবার তারা লাস্ট বয় না হওয়ার জন্য লড়াই করছে। এখন তারা আছে দশ নম্বরে। আর ইস্ট বেঙ্গল হয়েছিল নবম। এখন তারা এগারো নম্বরে। এবার তাদের ভবিতব্য লাস্ট বয় হবে কি না তা নির্ভর করছে সোমবারের ম্যাচের উপর। লাস্ট বয় না হতে হলে নর্থ ইস্টকে হারাতেই হবে ইস্ট বেঙ্গলকে। কাজটা অসম্ভব না হলেও কঠিন, বেশ কঠিন।
নর্থ ইস্ট ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গল পাচ্ছে না অমরজিৎ কিয়াম এবং জ্যাকিচাঁদ সিংকে। চোট থাকায় তাদের পাওয়া যাবে না। তবে ডিফেন্সের বাকিদের পাওয়া যাবে। এক ম্যাচ সাসপেন্ড থাকার পর দলে ফিরবেন হীরা মণ্ডল। নওচা সিংকেও পাওয়া যায়নি মুম্বই সিটি ম্যাচে। তিনিও ফিরবেন। দুই সেন্ট্রাল ব্যাকের মধ্যে ফ্রানিও পার্চে তো আছেনই। তাঁর পাশে কে খেলেন তাই এখন দেখার। আগের দুটি ম্যাচে জয়নার খেলেছেন। খারাপ খেলেননি। তবে আর এক ডিফেন্ডার টমিস্লাভ মার্সেলার বদলে ইস্ট বেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন ভুটানের অনন্ত তামাং। তাঁকে খেলানো হয় কি না তাই এখন দেখার।
মাঝ মাঠে ফ্রান সোতা এবং আন্তোনিও পেরোসেভিচ খেললে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত হতে পারেন কোচ মারিও রিভেরা। কারণ এই দুই ফুটবলার খেলা তৈরি করতে পারেন। আন্তোনিও গোলও করতে পারেন। এদের পাশে সৌরভ দাস এবং মহেশ সিং থাকলে মাঝ মাঠটা বেশ জমাট হয়। সামনের দিকে ব্রাজিলের মার্সেলো এখন আর টিমে জায়গা পাচ্ছেন না। মহম্মদ রফিক এবং সেম্বোই হাওকিপকে দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন মারিও। এই টিম নিয়ে কি নর্থ ইস্টকে হারানো যাবে? সন্দেহ আছে। খালিদ জামিলের নর্থ ইস্ট আগের ম্যাচে জামশেদপুরের সঙ্গে ০-২ পিছিয়ে পড়েও ২-২ করেছিল। শেষ দিকে আবার গোল খেয়ে ম্যাচটা হেরে গেছে। কিন্তু জামশেদপুরের শক্তি তো অনেক বেশি। ইস্ট বেঙ্গল তার ধারে কাছে নেই। তাই নর্থ ইস্টকে হারাতে গেলে ইস্ট বেঙ্গলকে নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে। প্রথম লেগের এই ম্যাচে নর্থ ইস্ট ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্ট বেঙ্গলকে। নর্থ ইস্টের প্রধান শক্তি তাদের ফরোয়ার্ড লাইন। ব্রাজিলিয়ান মার্সেলিনহো এবং কেরালার ভি পি সুহের খুবই ভাল ফর্মে আছেন। ইস্ট বেঙ্গল ডিফেন্সকে এদের আটকাতে গেলে অনেক ভাল খেলতে হবে। গোলকিপার শঙ্কর রায় গত কয়েকটা ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের গোলের নীচে দাঁড়াচ্ছেন। আগের ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিনি যে গোলটি খেয়েছেন তা নিয়ে অনেক কথা উঠেছে। সোমবার তাই শঙ্করেরও বড় পরীক্ষা টিমকে বাঁচানোর। সব মিলিয়ে যদি লাস্ট বয় হতে না চায় ইস্ট বেঙ্গল তা হলে সোমবার তাদের জিততেই হবে।