রাজ্যে পণ্যবাহী যানবাহনে নিরাপদ এক্সেল লোড চালুর বিষয়ে সম্মতি পরিবহণ দফতরের। সেইসঙ্গে ওভারলোডিং বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। করোনা পরিস্থিতিতে পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেইসঙ্গে ওভারলোডিংয়ের কারণে বাড়ছিল দুর্ঘটনার সংখ্যাও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বাসভবনে প্রশান্ত কিশোর, তুঙ্গে জল্পনা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পণ্য পরিবহণের খরচা বেড়েছে বহুগুণ। অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংশোধিত নিরাপদ এক্সেল লোড চালু থাকলেও এরাজ্যে না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। এবার পরিবহণ দফতরের তরফে সেই ছাড়পত্র মিলল। নিরাপদ এক্সেল লোড কি? কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক ১৮ জুলাই ২০১৮ সংশোধিত এক্সেল লোড চালু করে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোটা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে জানানো হয়। এর ফলে পণ্যবাহী গাড়ির ভার বহন ক্ষমতার নিরিখে নির্দিষ্টমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজ্যের পণ্য পরিবহণে এই ব্যবস্থা কার্যকর হলেও এরাজ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জের, আত্মঘাতী যুবক
এতদিন এরাজ্যে ১০ চাকার পণ্যবাহী গাড়ি ১৬ টন পর্যন্ত মাল বহনের ছাড়পত্র পেত। কিন্তু, ওই একই গাড়ি অন্যান্য রাজ্যে সংশোধিত নিরাপদ এক্সেল লোড চালু হওয়ার পরে ১৯ টন পর্যন্ত মাল বহন করতে পারত। ৩ টন কম থাকায় আর্থিক ক্ষতি মুখে পড়েছিলেন এরাজ্যের ট্রাক মালিকরা।
আরও পড়ুন: হাওড়া কোর্টে ‘অলিম্পিক’, আসামী ধরতে পুলিশের লম্বা রেস
অন্যদিকে ওভারলোডিং বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিরাপদ এক্সেল লোডের ছাড়পত্র মেলায় আর্থিক সুরাহা হবে বলে মনে করছেন ট্রাক মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে ওভারলোডিং বন্ধ হলে আগের থেকে দুর্ঘটনা অনেক কমবে বলে মনে করছেন পণ্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি।