দুর্গাপুর: গরুপাচার-কাণ্ডে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে “বিজেপির দালাল”বললেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার আসানসোলে লোকসভা উপ-নির্বাচনের প্রচারে যান তৃণমূল নেতা অনুব্রত। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁর সিবিআই তলব নিয়ে প্রশ্ন করতে তিনি মেজাজ হারান। তারপরেই প্রশ্নকারী সংবাদিককে কোন চ্যানেলের জানতে চান। উত্তর মিলতেই অনুব্রতকে বলতে শোনা যায়, “তার মানে বিজেপির এক নম্বরের দালাল। বড় দালাল।”
অনুব্রতর কটাক্ষের পরেও হাল ছাড়েননি ওই প্রশ্নকারী সাংবাদিক। তিনি ফের জানতে চান, সিবিআই তলবে তিনি হাজিরা দেবেন কিনা? তা শুনে রেগে যান অনুব্রত। বলেন, আমাকে সিবিআই ডেকেছে, সাংবাদিক হিসাবে আপনার কষ্ট হচ্ছে কি?
গরুপাচার-কাণ্ডে বীরবভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আগামী ৬ এপ্রিল সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছে। তাঁকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গরু পাচারকাণ্ডে এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে চারবার ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু কোনওবারই তিনি হাজিরা দেননি। নানান কারণে সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে রক্ষা কবচও পেয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর পঞ্চমবার অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। রক্ষাকবচ খারিজের পরেই অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখার ৬ এপ্রিল সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল হাজির হন কিনা।
গরুপাচার মামলায় মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে। তার পরপরই অনুব্রতর মঙ্গলকামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন দলের বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা। তাঁরা তারাপীঠের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, হাসনের বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদীপ ভট্টাচার্য-রা এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। যদিও অনুব্রত নিজে ওই যজ্ঞে হাজির ছিলেন না। তিনি আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন। এদিনও আসানাসোলে ভোটের প্রচারে যান। সেখানে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান তিনি।
আরও পড়ুন –Rampurhat Violence: উদ্ধার হওয়া টোটো-বাইকেই এসেছিল বিস্ফোরক? বগটুইয়ে উত্তর খুঁজছে সিবিআই