মগরাহাট: বাইকের লোনের টাকা দেওয়ার নাম করে পাতা হয়েছিল ফাঁদ। পরিকল্পনা মাফিক অপহরণও করা হয়েছিল দুই লোন এজেন্টকে। চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণও। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে বার বার বদল করা হয়েছিল লোকেশন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। লোন এজেন্ট জিয়াউল হক ও আকিব আনসারীকে অপহরণের অভিযোগে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুলিসের জালে ৬ অপহরণকারী। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই ব্যক্তি এবং অপহরণের টাকাও।
কী হয়েছিল?
মাইক্রো ফাইনান্স কোম্পানির এক কর্মী ও তাঁর বন্ধুকে ২৭ শে এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় বাইকের লোন নেওয়ার নাম করে ডাকা হয় সার্ভে পার্ক থানা এলাকায়। টাকা নিতে যান এজেন্ট জিয়াউল হক ও আকিব আনসারী। এরপরেই সেখানে ওই দুই লোন এজেন্টকে আটকে রেখা হয়। ফোন মারফৎ পরিবারের কাছে চার লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়।
ঘটনায় বৃহস্পতিবার মগরাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত দুই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন। অভিযোগের পরেই অপহৃত ব্যক্তির ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করতে শুরু করে পুলিস। জানা যায় অপহরণকারীরা সার্ভেপার্ক থানা এলাকাতেই রয়েছে।
আরও পড়ুন- Cooch Behar TMC: নাম না করে কোচবিহারে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আক্রমণ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
এরপরেই ডায়মন্ড হারবারের এস ডি পিও মিতুন দের তত্ত্বাবধানে মগরাহাট থানার বিশাল পুলিস বাহিনী কলকাতার সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় হানা দেয় । সেখানের একটি আবাসিক হোটেলে থেকেই অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা। উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ব্যক্তিকে এবং মুক্তিপণের লক্ষ টাকাও।