মহেশতলা: মহেশতলায় বাজির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এলাকাটি ঘন-বসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। তবে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মহেশতলার নুঙ্গি বাজি বাজারের ঝাউতলা পুটখালীর মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আগুনের কুণ্ডলী দেখা মাত্রই স্থানীয়রা জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানা ও দমকল বাহিনীতে। খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ও মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর দমকলকর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গোডাউনের ভিতরে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তাঁদের মধ্যে কারখানার মালিকের স্ত্রী লিপিকা হাতি (৫২) এবং তাঁর ছেলে শান্তনু হাতি (৩২)। মৃত্য়ু হয়েছে প্রতিবেশী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আলো দাসেরও (১৭)।ইতিমধ্যে পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কয়েকজন অল্প-বিস্তর আহতও হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:Killed Pti Leader Pakistan| ভয়াবহ হামলায় ইমরান খানের দলের নেতা সহ ১০ জনের মৃত্যু
তবে এই বাজি কারখানায় ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার সময় গোডাউনের ভিতর কয়েকজন ছিলেন। হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটার পরই বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় তাঁরা কেউ আর বেরোতে পারেননি। ফলে গোডাউনের ভিতরেই আগুনে ঝলসে যান তাঁরা। বাজি গোডাউনে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
এদিকে খবর করতে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হেনস্তার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। তাঁদেরকে ছবি করতে বাঁধা দেওয়া হয়। মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রতিবেশীরাও। সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রতিবেশীরা কেউই কোনও প্রকার প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি। ওই কারখানায় বাজি তৈরির জন্য কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।