কেশপুর: ভোটপরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের একদা দাপুটে নেতা মহম্মদ রফিক। মহম্মদ রফিক ছাড়াও বুধবার খড়্গপুরের ডিআরএম বিল্ডিং সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন কেশপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠীসহ ১২ জন। খড়গপুর ডিআরএম বিল্ডিংয়ে এই বিষয়ে খবর করতে গেলে আরপিএফের সিনিয়র ডিএসসি সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি সাংবাদিকদের লাঠিপেটা করে বাইরে বের করার নির্দেশ দেন।
এদিন হাজিরা দেওয়ার পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে মহম্মদ রফিক বলেন, এটা একটা মিথ্যা মামলা। শুধু আমায় নয়, কেশপুরের বুথ থেকে জেলা, ব্লক, অঞ্চল মিলিয়ে মোট ১২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠীসহ ১২ জনকে ডাকা হয়েছে। ওরা ভাবছে ১২১ জনকে আসামি করে দিলেই কেশপুরের তৃণমূলগুলো সব সব গর্তে ঢুকে যাবে। বিজেপির তো তিনটে লোক আছে পশ্চিমবঙ্গে। এক রাজ্যপাল, বাকি দুই সিবিআই এবং ইডি। যারা জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ১২১ জনকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
কেন নাম জড়িয়েছে মহম্মদ রফিকের?
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কেশপুরের কৈগেড়িয়া এলাকাতে সুশীল ধাড়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি ওই বিজেপি কর্মীর মেয়ে তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছিল এই অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলায় সিবিআই কেশপুরের ১২১ জন বিভিন্ন স্তরের নেতাকে নোটিস দিয়েছে। খড়্গপুরের ডিআরএম অফিসে ১৪০ নম্বর রুমে অস্থায়ী ক্যাম্প করে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানেই প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা আলাদা তারিখও দেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জন কেশপুরের তৃণমূল নেতা কর্মীকে জেরা করেছে সিবিআই। দীর্ঘ তালিকাতেই নাম ছিল মহম্মদ রফিকের।
আরও পড়ুন- Maoist Poster Salboni: শালবনিতেও ‘এবার আমরা খেলব’, পোস্টার মাওবাদীদের