বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) রায়নায় চলল গুলি। ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (Inner Clash)। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের তির উঠছে বিজেপির (BJP) দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমোত চাঞ্চল্য চড়ায় রায়নায় ।
জানা গিয়েছে, রায়নায় এলাকার শুকুর গ্রামের বাজারে বুধবার রাতে ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল কর্মী মৃগাঙ্ক সিং ওরফে লালন ও তাঁর বাবা বাদল সিংয়ের উপর গুলি চালানো হয়। রায়না ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মণ্ডল জানান, আক্রমণকারীরা সকলেই প্রাক্তন বিজেপি কর্মী। বর্তমানে তারা সকলেই অন্য গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে এই মৃগাঙ্ক সিং দলের হয়ে লড়াই করেছিল। তাদের লড়াইতেই হিজলনা অঞ্চলে সংগঠন ধরে রাখা সম্ভব হয়। তার জেরেই এবারের বিধানসভার ভোটে জেতে শাসকদল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘আবাস যোজনার টাকা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয়’, জঙ্গলমহল থেকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
তাঁর অভিযোগ, সৌমেন রায় নামে এক ব্যক্তি এলাকায় দলের ক্ষতি করতে চাইছে। সে গত ভোটে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে অজ্ঞাত কারও হাত ধরে সে দলে আসে। দলের সক্রিয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওই সৌমেন অপপ্রচার করে দলের ক্ষতি করছে বলে তাঁর দাবি।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ রায়না (Raina) থানা এলাকার বাঁধগাছা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয় ২ দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার করা হয় একটি পাইপগান ও ২ রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃত দুজনের নাম নাসির দেওয়ান ও সজল বাগ। দুজনেরই বাড়ি রায়নার জোৎসাদী গ্রামে।
 রায়নায় চলল গুলি। ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল (Inner Clash)। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।){kind=link}