রামপুরহাট: শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে বগটুই পৌঁছল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণহত্যার ঘটনায় আক্রান্তের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ। ছিলেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলামও। এদিন ওই মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ করা হয় গোটা ঘটনার। এরপরেই ওই গ্রামের শিশুদের পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পড়াশোনার সামগ্রী। একই সঙ্গে বগটুই কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট হত্যালীলার প্রতিবাদে পথে নেমেছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। বগটুই কাণ্ডের পর শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের এই পদযাত্রা এদিন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছয়। পদযাত্রার নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম, মণীষা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও অসংখ্য সাধারণ মানুষ পা মিলিয়েছেন এই পদযাত্রায়।
সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি চলছে তা বন্ধ করতেই এই পদযাত্রা। ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটে গণহত্যার ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধেয় বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷ পরে আরও একজনের মৃত্যু হয় রামপুরহাট হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- Jangipara: জাঙ্গিপাড়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার
বগটুইয়ের ঘটনায় প্রথমে সিট এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। ৭ এপ্রিলের মধ্যে ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ সেই মতোই গত বৃহস্পতিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। একই সঙ্গে ভাদু শেখের খুনের ঘটনারও তদন্ত করছে সিবিআই। দুটি ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।