বসিরহাট: ঘূর্ণিঝড়ের যশের দাপটে সমুদ্রের তাণ্ডবের স্বাক্ষী থেকেছে সুন্দরবন৷ ঢেউয়ের ঝাপটায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপকূলবর্তী ম্যানগ্রোভ অরণ্য৷ বাধ্য হয়ে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয় ঠাঁই নিচ্ছে বাস্তুহারা বন্যপ্রাণীরা৷ জলবন্দি এলাকায় বেড়েছে অহিদের আনাগোনা৷ প্লবিত গ্রামবাসীদের এখন নতুন আতঙ্ক বিষধর সাপ৷ সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ ব্লকে কালাচ, চন্দ্রবোরা, গোখরোর নিঃশ্বাসের শব্দে ভীত মানুষ৷ জল নামতেই এলাকা থেকে প্রায় ১০-১২টি বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে বন দফতর৷
আরও পড়ুন দরজায় সাপ, ঢুকতে দিল না কুকুর
নোনাজলে গভীর জঙ্গলে নষ্ট হয়েছে সরীসৃপদের বাসস্থান৷ ব্যাঙ, পোকামাকড়, ছোটমাছ খেয়ে ম্যানগ্রোভের ছায়ায় স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে বাস শাঁখামুটি ও শঙ্খচূড়ের মতো বিরল প্রজাতির বিষধর সাপের৷ প্লাবনের জেরে নষ্ট হয়েছে বনভূমি৷ বাসস্থানের অভাবে লোকালয়ে এসে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাপগুলিকে৷ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ জানিয়েছে, বিরল প্রজাতির এই সাপগুলিকে রক্ষা করা না গেলে বিপন্ন হবে বাস্তুতন্ত্র৷ সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অ্যান্টি ভেনাম সিরাম মজুত রাখা হয়েছে। সর্পাঘাতে আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়ছে৷ প্লাবিত এলাকায় খোঁজ চলছে বিরল প্রজাতির সরীসৃপদের৷