হুগলি: সময় মতো বেতন (Salary) না পাওয়ার প্রতিবাদে চুঁচুড়া পুরসভার (Municipality) সামনে ত্রিবেণী রোড অবরোধ করেন পুরসভার কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এর আগেও তাঁরা বেতন ইস্যু নিয়ে বহুবার পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। এদিন অবস্তান বিক্ষোভে (Protest) পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুরকর্মীদের মধ্যে কথাবার্তার সুর গরম হয়ে ওঠে, তৈরি হয় উতপ্ত পরিবেশ। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিযোগ, মার্চ মাসের বেতন হয়েছে এপ্রিল মাসের ২১তারিখে। এপ্রিলের বেতন এখনও হয়নি। এরকম প্রতি মাসেই ঘটতে থাকে। এদিকে আর মাত্র দুদিন পরেই নববর্ষ, রমজান মাস চলছে, ঈদও এগিয়ে আসছে। এই উৎসবের মরশুমে তাঁরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তাই এদিন তাঁরা তাঁদের দাবি নিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুল গাড়ির ক্ষেত্রে তাঁরা অবরোধ সরিয়ে গাড়িগুলিকে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন। কিন্তু অন্যান্য যান চলাচল করতে না পারায় ভিড় জমে যায়। বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান কিছু লোকজন নিয়ে ওই স্থানে পৌঁছন, তাতে পরিস্থিতি আরও উতপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে চুঁচুড়া থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভ উঠিয়ে দেয়।
এক পুরকর্মী বলেন, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে একই জিনিষ চলছে, বেতন হচ্ছে মাসের শেষে, আবার কনও মাসে তাও হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে আমরা আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম, কিন্তু চেয়ারম্যান তাঁর কিছু লোক সঙ্গে করে নিয়ে এসে আমাদের উপর চড়াও হন। আমদের বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি করেন, এটা কোনও চেয়ারম্যানের আচরণ হতে পারে না। এখন শুধু বেতনের প্রসঙ্গ নয়, উনি আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তাঁর জন্য ওনাকে আগে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, এসব উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে। কিছু প্রসেস থাকায় বেতন হতে দেরি হচ্ছে। কাজ বন্ধ করে কখনও আলোচনা হয় না। আলোচনা করতে হলে কাজ চালু রেখে করতে হয়। বাম আমলে এবং তার পরবর্তী সময়েও কোনওদিন আমরা দেখিনি মাসের ১ তারিখে বেতন হয়। এঁদের কোনদিন সিপিআইএম বা বিজেপির বিরুদ্ধে এসব নিয়ে কথা বলতে দেখিনি।সবটাই আসলে চক্রান্ত করে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
আর এক পুরকর্মী বলেন, আমরা এখানে কোনও রাজনীতি করছি না, আমরা শুধু সময়মতো আমদের বেতনটুকু চাইছি।