হুগলি: রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা ১ মার্চ৷ কিন্তু তার আগেই নিজেকে জয়ী বলে ভাবতে শুরু করেছেন প্রার্থী নির্মলেন্দু সাহা৷ নাহ, তিনি কোনও দল থেকে প্রার্থী হননি৷ স্বেচ্ছায় ভোটে লড়ছেন (West Bengal Municipal Election 2022)৷ যাকে বলে নির্দল প্রার্থী৷ রবিবার ভোট চলাকালীন গলায় ফুলের মালা পরে বাইকে গোটা এলাকা চষে বেড়ান৷ বলেন, মানুষ চেয়েছিল আমি ভোটে দাঁড়াই৷ বুথ থেকে বেরিয়ে অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা আমাকেই ভোট দিয়েছেন৷
রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত বৈদ্যবাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছিল ৩৫ শতাংশ৷ তারপরই সাদা পায়জামা, তুতে রঙের পাঞ্জাবি ও চোখে রোদ চশমা পরে বাইকে চেপে এলাকায় হাজির হন ওই ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী নির্মলেন্দু সাহা৷ মাত্র চারঘণ্টায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ায় তিনি ধরেই নিয়েছেন, কাউন্সিলর ঘোষণা হওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷ জিতছেন তিনিই৷
এতটা আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে এল? নির্মলেন্দু সাহা বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে বেরনোর সময় আমাকে আশ্বস্ত করেছেন৷ বলেছেন, আমিই জিতছি৷’ সেই বিশ্বাস থেকে আনন্দে গলায় ফুলের মালা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্দল প্রার্থী৷ কাউন্সিলর হওয়ার পর কী কী কাজ করবেন সব তাঁর ঠিক হয়ে গিয়েছে৷ নির্মলেন্দু বলেন, ‘নিকাশি ব্যবস্থা বড় সমস্যা৷ জল জমে এক হাঁটু৷ আগে সে কাজ করব৷’

আরও পড়ুন: West Bengal Civic Polls: ডালখোলায় অবাধে ছাপ্পা, প্রতিবাদে অবরোধ, ইটবৃষ্টি, কাঁদানে গ্যাস
অনেক জায়গায় টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল, বিজেপি বা কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা৷ তবে নির্মলেন্দুর রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা এলাকার কেউ জানাতে পারলেন না৷ তবে প্রার্থীর কথায়, ‘জনগণ চেয়েছিল তাই ভোটে দাঁড়িয়েছি৷ তাঁরা যা রায় দেবেন মাথা পেতে নেব৷ তবে জনগণের উপর ভরসা আছে৷’ এদিকে নির্দল প্রার্থীর দাবিকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শুভাশিস জোয়ারদার বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো৷ কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকারক৷ এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়৷ তৃণমূলই জিতবে৷ নির্দল বা অন্য কোনও দল ধোপে টিকবে না৷’