গঙ্গা নদীর ভাঙন রোধের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সেচ দফতরে অভিযোগ করে ছিলেন মালদহ জেলার মানিকচক ব্লকের ভুতনির নন্দীটোলা গ্রামের বাসিন্দারা। গঙ্গাতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাঙন রোধের কাজ হয়। কিন্তু সেই কাজ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জলে তলিয়ে যায়। এই বছর ভুতনির সুকসেনা গঙ্গা ঘাটে সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করে মাটির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে না এই অভিযোগ সেচ দফতরে জমা পড়তেই সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নিজে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভুতনিতে আসেন। গ্রামের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটি তৈরি করে দেন। এছাড়াও মাটির বস্তার মজুরি নিয়ে শ্রমিকেরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করলে বস্তা প্রতি ৫ টাকার পরিবর্তে দেড় টাকা বাড়িয়ে তা সাড়ে ৬ টাকা করা হয়ে। প্রতি বছর একই ঠিকাদার কেন কাজ পায়, তা নিয়ে গ্রামের লোকজন মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন। মন্ত্রী নিজেও বলেন এই বিষয়ে খোঁজ নেবেন। গ্রামের লোকেদের বক্তব্য, প্রতি বছর এখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে অথচ তা থাকছে না, জলে তলিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম দিক থেকে গঙ্গা ভাঙতে ভাঙতে ১৩ কিমি ভেতরে ঢুকে এসেছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিং আছে কলকাতায়। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এত দিন কি কাজ হয়েছে জানি না। মুখ্যমন্ত্রীর এই সেচ দফতরের কাজ নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার রিভিউ মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এই কাজ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে। এদিকে যে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই আনন্দ ঘোষ বলেন, ভুতনিতে মাফিয়াদের ভয়ে কেউ কাজ করতে আসতে চায় না। এখানে মস্তানদের তোলা দিয়ে কাজ করতে হয়। তোলা না দিলে মাফিয়ারা কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি শুনতে হয়।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.