কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরকে বেইমান এবং বিশ্বাঘাতকমুক্ত করার ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শনিবার কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির অদূরে এক বিশাল জনসভায় তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আক্রমণের মূল লক্ষ্যই ছিলেন বিরেধী দলনেতা। দলে নেতাদের অভিষেকের নির্দেশ, আগামীকাল থেকেই জেলার সমস্ত ব্লক, গ্রাম, পাড়া, অলিতেগলিতে মিছিল মিটিং করতে হবে বিশ্বাসঘাতকমুক্ত জেলা করার লক্ষ্যে। এই বিশ্বাসঘতক ও বেইমান যে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), তা গোপন করেননি অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
এদিনই কাঁথিতে আসার পথে অভিষেক আচমকাই ঢুকে পড়েন মারিশদার একটি গ্রামে। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা অভিষেককে জানান, এখানকার সাংসদ তাঁদের দিকে কোনওদিন ফিরেও তাকাননি। প্রসঙ্গত, ওই এলাকার শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। অভিষেকের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি কোনও কাজ করেন না। তাঁর নির্দেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই তিনজনকে ইস্তফা দিতে হবে। তৃণমূল শিবিরের খবর, শাসকদলের ওই নেতারা এখনও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। সে কারণেই অভিষেকের এই হুমকি।
আরও পড়ুন:Godhra Incident: সবরমতী কাণ্ডে দোষী সাব্যস্তদের মুক্তির বিষয়ে নমনীয়তা নয়
এদিন কাঁথির মঞ্চ থেকে তিনি বারবারই নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে চলেন। তিনি বলেন, ওই মিরজাফরের একটাই কাজ, সকাল থেকে আমার নাম জপ করা। খালি আমাকে হুমকি দিয়ে চলেছে। শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবার এমনকী, আমার তিনবছরের ছেলেকে নিয়েও সারা দিনরাত পড়ে রয়েছে। অভিষেক আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখ বন্ধ করে অধিকারী পরিবারকে বিশ্বাস করেছিলেন। এটা নেত্রীর ভুল ছিল। আর সেই সুযোগে ওই বেইমান একের পর এক দুর্নীতি করে গিয়েছেন। শুভেন্দু উদ্দেশে তাঁর চ্যালেঞ্জ, সাহস থাকলে সামনে এসে লড়াই কর।
অভিষেক দাবি করেন, এবার পঞ্চায়েত ভোট হবে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ। দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে টিকিট দেওয়া হবে না। তৃণমূলে থাকার সময় ওই মিরজাফর সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন গোটা মেদিনীপুর জেলায়। নারদ কাণ্ডে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। এখন পীঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছেন। মেদিনীপুরের মানুষ ৫০০ বছর ধরে ওই লোকটাকে মিরজাফর হিসেবে মনে রাখবে। তিনি বলেন, আমি কাঁথিতে এসেছি বলে লেজ গুটিয়ে ডায়মন্ড হারবারে পালিয়ে গিয়েছেন।