বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে শিশুদের (Child) মধ্যে নিউমোনিয়া ও ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। এমন অবস্থা যে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাপাতালে তাদের ভর্তি করার জন্য কোনও বেড ফাঁকা নেই। ঠাসাঠাসি করে শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে এই মুহূর্তে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের ওয়ার্ডে ৭০ টি বেডে ১৮০ জন ভর্তি রয়েছে।পাশাপাশি এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ৬০টি বেডে ১০৬টি শিশু ভর্তি রয়েছে। ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ৯০% নিমোনিয়া ও ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের নাকে আঠার মত কফ জমে যাচ্ছে, যে কফ সহজে বার করা যাচ্ছে না। ১০২-১০৫ জ্বর উঠছে। সেই জ্বর সারাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
প্রায় ২০ শতাংশ শিশুর ভাইরাল নিউমোনিয়া হচ্ছে। এজন্য তাদের দিতে হচ্ছে নেবুলাইজার। প্রচুর শিশু গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ভর্তি হচ্ছে সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন , দেখা যাচ্ছে, সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চারা স্কুলে গিয়েছে। স্কুল থেকেই ভাইরাল জ্বর নিয়ে আসছে বাড়িতে। যাতে ছড়িয়ে যাচ্ছে ভাইরাল নিমোনিয়া। শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভোলানাথ আইচ। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় শিশুদের জ্বর, সর্দি কাশি হয়। তবে এবার অনেক বেশি শিশুরা এতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live: গত ১১ বছরে বাঁকুড়া থেকে মাওবাদীর আতঙ্ক দূর হয়েছে, মমতা
গলায় প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার কারণে বাচ্চারা কিছু খেতে পারছে না। পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডের তুলনায় এই মুহূর্তে তিনগুণ বাচ্চা সেখানে ভর্তি রয়েছে।
গত জানুয়ারি মাস থেকে দেখা যাচ্ছে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট। তা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গরম জলে স্নান করানো থেকে মাস্ক পড়ানো উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাচ্চাদের ভর্তি করে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরাও। ভাইরাল নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ভাইরাল অসুখ থেকে কিভাবে নিষ্কৃতী পাওয়া যাবে তার প্রচারও শুরু করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।